Bangladesh Protest

বাতিল মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেস, ঢাকায় চলছে না কোনও ট্রেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে তপ্ত বাংলাদেশ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। চাকরিতে সব ধরনের সংরক্ষণ সংস্কারের দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৪
Due to unavoidable circumstances Dhaka-Kolkata-Dhaka Maitree Express cancelled

মৈত্রী এক্সপ্রেস। — ফাইল চিত্র।

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পথে ছাত্রেরা। দফায় দফায় পুলিশ এবং ছাত্র লীগের নেতা-নেত্রীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভারতের পড়শি দেশ। সেই কারণেই ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া দুই ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করা হল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকার মধ্যে কোনও ট্রেন চলাচল করবে না। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বন্ধ রেল পরিষেবা। শুক্রবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

Advertisement

‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকায় কোনও ট্রেন প্রবেশ করবে না। এমনকি, ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন কোথাও যাবেও না। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চলে মৈত্রী এক্সপ্রেস। কিন্তু ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিপর্যস্ত ঢাকার জনজীবন। শুধু ঢাকা নয়, দেশের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। সেই আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে সে দেশের প্রশাসন। এমন অবস্থায় ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ জানালেন, শুক্রবার ঢাকা থেকে ছাড়বে না মৈত্রী এক্সপ্রেস। পাশাপাশি, শনিবার ঢাকার উদ্দেশে কলকাতা থেকে যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ে, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রবিবার কলকাতা-খুলনা এবং খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় রেল।

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। চাকরিতে সব ধরনের সংরক্ষণ সংস্কারের করার দাবি নিয়ে পথে নেমেছে ছাত্রসমাজ। পুলিশ এবং দেশের শাসকদল আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে শেখ হাসিনা সরকার।

‘প্রথম আলো’-তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে ঢাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যে হেতু বাংলাদেশের বেশির ভাগ ট্রেনই ঢাকার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করে, তাই গোটা দেশেরই ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে? সরকারি সূত্রে পাওয়া তথ্য উল্লেখ করে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা যাতে ট্রেন পরিষেবা থেকে সুবিধা না পান, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। কম সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার অন্যতম যান হল ট্রেন। বিক্ষোভকারীদের আটকাতেই তাই ট্রেন বন্ধ রাখার মতো পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার ট্রেন চলাচল করবে বলেও দাবি সরকারি সূত্রের। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে লোকাল, মেল, এক্সপ্রেস মিলিয়ে প্রতি দিন ৩০০-র বেশি ট্রেন চলে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে কোনও ট্রেনের চাকাই গড়ায়নি।

(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় লেখা হয়েছিল বাংলাদেশে ‘সংরক্ষণ বিরোধী’ আন্দোলন হচ্ছে। আদতে বাংলাদেশে এই আন্দোলন হচ্ছে কোটা সংস্কারের দাবিতে। আমরা সেই ভ্রম সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত ওই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী)

আরও পড়ুন
Advertisement