ঘোড়সওয়ার পুলিশ ব্যস্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণে। ছবি: পিটিআই।
পদপিষ্টের ঘটনার পরই ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় সরানোর কাজ শুরু করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। সঙ্গমের ঘাটের দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের ভিড় সরাতে ঘোড়সওয়ার পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (মহাকুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ।
বুধবার মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত অনেকে। ঘটনার পর থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় প্রশাসন। পুলিশ তো বটেই, তার সঙ্গে আধাসেনা এবং এনএসজি নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বুধবার সকালের পর থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও দুর্ঘটনায় কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
আর কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে পুলিশ-প্রশাসন। কেন পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রশাসনের একটি বড় অংশের দাবি, পুণ্যার্থীরা সকলেই সঙ্গমের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভাঙে। তাতেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই আপাতত সঙ্গম পুণ্যার্থীমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিজি বৈভব।
মহাকুম্ভের ডিজির কথায়, ‘‘মৌনী অমাবস্যায় ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। বুধবার ১০ কোটি পুণ্যার্থীর ভিড় হবে, তা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। মহাকুম্ভে অনেক আখড়াই সঙ্গমে স্নান করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ পুণ্যার্থীরাও যাতে সঙ্গমের দিকে না যান, তার জন্য বার বার মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে।
বুধবার পদপিষ্টের ঘটনার পরই রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে। মেলাপ্রাঙ্গণে মোতায়েন করা হয় এনএসজি, আধাসেনাও। গুজবে কান না দিয়ে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার জন্য প্রচার করা হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণের সর্বত্র। কোথাও যাতে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সে দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন।