Bharat Jodo Yatra

আবার রাহুলের যাত্রার পরিকল্পনায় কংগ্রেস, কর্নাটকে জয় কি বাড়তি অক্সিজেন দিল দলকে!

কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-ই সুফল এনে দিয়েছে দলকে। তাই আর দেরি করতে চাইছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২৩ ২০:০৮
image of bharat jodo yatra

সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে শিগগিরই দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিমে হাঁটবেন রাহুল। যেমন কথা ছিল। — ফাইল ছবি।

হিমাচলের পর কর্নাটকেও বড় জয় কংগ্রেসের। তার পরেই কংগ্রেসের একটা বড় অংশ মনে করতে শুরু করেছে, রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ই দলকে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। এই আবহে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়ে দিলেন, এ বার পূর্ব থেকে পশ্চিমে রাহুলের পদযাত্রার পরিকল্পনা শুরু করেছে দল।

কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-ই সুফল এনে দিয়েছে দলকে। তাই আর দেরি করতে চাইছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে নজরে রেখে শিগগিরই দেশের পূর্ব থেকে পশ্চিমে হাঁটবেন রাহুল। যেমন কথা ছিল। বেণুগোপালের কথায়, ‘‘পূর্ব থেকে পশ্চিমে আরও একটি ভারত জোড়ো যাত্রার পরিকল্পনা করছি আমরা। কর্নাটকে আমরা এর সুফল দেখেছি।’’

Advertisement

২০২২-এর ৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণের কন্যাকুমারী থেকে ভারত জোড়ার পদযাত্রা শুরু করেছিলেন রাহুল। ১২টি রাজ্য, দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি তাঁর পদযাত্রা শেষ হয় জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে। সেই যাত্রার মধ্যে কর্নাটকও ছিল। মোট ২২ দিন জুড়ে।

গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর চামরাজনগর জেলার গুন্ডালুপেট দিয়ে কর্নাটকে প্রবেশ করেছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তার পর চামরাজনগর, মাইসুরু, মাণ্ড্য, টুমকুর, চিত্রদুর্গা, বেল্লারি এবং রাইচুড় হয়ে তা ঢোকে মহারাষ্ট্রে। মোট ২২ দিনে রাহুল হেঁটেছিলেন কর্নাটকের ৫০০ কিলোমিটার পথ। কর্নাটক বিধানসভায় বাজিমাত করার পিছনে এই ৫০০ কিলোমিটার পদযাত্রাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কংগ্রেস। ওই ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পড়েছিল ৫১টি বিধানসভা আসন। সেই ৫১টি আসনের জয়জয়াকার কংগ্রেসের। এই সাফল্যই আগামী লোকসভা নির্বাচনে ধরে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। তাই ফের পরিকল্পনা করছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র।

বেণুগোপাল এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নিয়ে পরিকল্পনার পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট গড়তে প্রস্তুত কংগ্রেস। নীতিগত বিভেদ থাকলেও জোটের কথা ভাববে দল। তিনি একটি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘বিরোধী জোটের প্রতি আমাদের বার্তা যে, জাতীয় স্তরে আমাদের এক সঙ্গেই কাজ করতে হবে।’’ তবে রাহুল-ঘনিষ্ঠ নেতা বেণুগোপাল এও জানিয়েছেন যে, ভোটের পরেই আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কেরলে সিপিএমের সঙ্গে, তেলঙ্গানায় ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-এর সঙ্গে জোট গড়া যায় না। তবে ভোটের পর ভেবে দেখা যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ভোটের আগে জোট গড়া যেতে পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement