গাঁধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল সাংসদদের বিক্ষোভ
ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর হামলা ও তাঁদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় তৃণমূল সাংসদরা। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের হত্যা রয়েছে বলে সোমবার সেই ধর্না থেকে অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার সংসদে অধিবেশন শুরুর আগেই এই কর্মসূচি নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। পরে সংসদেও ত্রিপুরার বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হবেন তাঁরা, তেমনই শোনা গিয়েছে। ত্রিপুরায় যা ঘটছে, তাতে কেন্দ্রের মদত রয়েছে বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। এই দিনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়রা।
শনিবার ত্রিপুরায় বিক্ষোভ, জমায়েতের কারণে তৃণমূলের ১৪ জন নেতাকে গ্রেফতার করেছিল সে রাজ্যের পুলিশ। তার পর রবিবার সকালে ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন বিকেলেই জামিন পান ধৃত তৃণমূল নেতারা। আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে। এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ত্রিপুরাকে কি বাবার সম্পত্তি মনে করছে বিজেপি?’’
এ বার ত্রিপুরার বিষয়টিকেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করতেই গাঁধী মূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা, এমনটাই মত রাজনীতির কারবারিদের।
ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপিও। রাতেই টুইট করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব লেখেন, ‘কিছু দল যারা ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে, তারা উন্নয়নের নিরিখে অনেকাংশেই ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি নয়, বরং রাজ্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরা আজ গোটা দেশে নজির তৈরী করছে।’
কিছু দল যারা ত্রিপুরায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে তারা উন্নয়নের নিরিখে অনেকাংশেই ত্রিপুরা থেকে পিছিয়ে l রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি নয়, বরং রাজ্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশই আমাদের প্রধান লক্ষ্য l বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের নিরিখে ত্রিপুরা আজ গোটা দেশে নজির তৈরী করছে l
— Biplab Kumar Deb (@BjpBiplab) August 8, 2021