দিল্লির স্কুলগুলিতে অনলাইন এবং অফলাইন পদ্ধতিতে পড়ানোর নির্দেশ। ছবি: পিটিআই।
শুধু অনলাইন নয়, অফলাইনেও অর্থাৎ স্কুলে সশরীরে হাজির থেকে পড়ুয়ারা যাতে পঠনপাঠন করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিল দিল্লি সরকার। কেন্দ্রের অধীনে থাকা কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)-দূষণ পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করে ছাড়পত্র দিতেই স্কুলগুলিকে দুই পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চালু করার নির্দেশ দেওয়া হল।
দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় ১৮ অক্টোবর থেকে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে স্কুলগুলিতে। কিন্তু অনলাইন ক্লাসের সুযোগ অনেক পড়ুয়া ঠিক মতো পাচ্ছে না, তা ছাড়া অনলাইন ক্লাসের কারণে মিড ডে মিলও পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। অনলাইন ক্লাসের বেশ কয়েকটি অসুবিধা পর্যবেক্ষণ করার পরই সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সিএকিউএম-এর কাছে জানতে চায়, সশরীরে স্কুল বা কলেজগুলিতে পড়ুয়ারা আসতে পারবেন কি না। কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এ বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়ে জানিয়ে দেয়, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাস অফলাইনে চালু করা যাবে। তবে শুধু অফলাইনেই নয়, যেখানে অনলাইনে ক্লাস করানোর মতো সমস্ত পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে সেই পদ্ধতিতেও ক্লাস করানো যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
দূষণের জেরে অনলাইনে স্কুল চালানো হচ্ছে দিল্লি এবং এনসিআরে। কিন্তু কত দিন এ ভাবে পঠনপাঠন চলবে, সুপ্রিম কোর্ট তার উত্তর জানতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা সিএকিউএম-এর কাছে। তার পরই সংস্থাটি পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর পরই কেন্দ্রীয় সংস্থাটি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সবুজ সঙ্কেত দিতেই দিল্লির সরকার স্কুলগুলিকে দুই পদ্ধতিতেই স্কুল চালু করার নির্দেশ দিল।
মঙ্গলবারেও দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলের দূষণ পরিস্থিতি খুব একটা উন্নতি হয়নি। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে গত কয়েক দিন ধরে ‘অত্যন্ত খারাপ’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে মাত্র। তবে বিপদের আশঙ্কা কাটেনি। মঙ্গলবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩৮২। সঙ্গে চলছে ধোঁয়াশার দাপটও।