Delhi Police

রাজধানীর রাস্তায় নমাজ পড়ার সময় পর পর লাথি! ভিডিয়ো ভাইরাল, সাসপেন্ড দিল্লি পুলিশের অফিসার

পুলিশ অফিসারের ‘কীর্তি’তে নিন্দার ঝড় ওঠে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান অনেকেই। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগারহি ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে সরব হয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৯:১১
Delhi police Officer seen kicking Muslim men offering namaz on road

দিল্লির রাস্তায় উত্তেজনা। ছবি সংগৃহীত।

দিল্লির ‘ব্যস্ততম’ রাস্তায় বসে শুক্রবার নমাজ পড়ছিলেন অনেকে। সে সময় কয়েক জন পুলিশকর্মী এসে তাঁদের সরিয়ে দেন। অভিযোগ, এক পুলিশ অফিসার লাথি মেরে কয়েক জন মুসলিমকে সরানোর চেষ্টা করেন। ঘটনা ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই অভিযুক্ত অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। যদিও ওই ঘটনার ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লির ইন্দ্রলোক এলাকার এক মসজিদের নমাজ পড়ার জন্য জড়ো হয়েছিলেন অনেকে। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য মসজিদের মধ্যে নমাজ পড়ার জায়গা পাননি, এমন মুসলিমদের সংখ্যা নেহাত কম ছিল। তাই রাস্তার ধারে বসেই প্রার্থনা শুরু করেন তাঁরা। তার জেরেই ওই রাস্তায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁরা এসেই ভিড় হটাতে শুরু করেন। অভিযোগ, সে সময়ই এক জন পুলিশ অফিসার আচমকাই প্রার্থনারত মুসলিমদের লাথি মারতে শুরু করেন। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন কয়েকজন পথচারী। সেই ভিডিয়োই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পুলিশ অফিসারের ‘কীর্তি’তে নিন্দার ঝড় ওঠে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানান অনেকেই। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ইমরান প্রতাপগারহি ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘দিল্লি পুলিশের এই কর্মী নমাজ পাঠরত মুসলিমদের একের পর এক লাথি মারতে থাকেন। ওই পুলিশকর্মীর হৃদয়ে কিসের এত ঘৃণা? দিল্লি পুলিশকে অনুরোধ করছি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত করতে। পাশাপাশি তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করারও আর্জি জানাচ্ছি।’’

ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান অনেকেই। উত্তেজনা এড়াতে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে ‘তদন্তের আশ্বাস’ দেওয়ার পরেই বিক্ষোভ তোলে উত্তেজিত জনতা। দিল্লি পুলিশের এক উচ্চপদস্থ অফিসার এমকে মিনা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত অফিসারকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

আরও পড়ুন
Advertisement