Delhi Operation

দৃষ্টি ফেরাতে নাক দিয়ে বার করা হল টিউমার! সফল অস্ত্রোপচারে নজির গড়ল দিল্লির হাসপাতাল

গত জুলাই মাসে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি নিয়ে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন ৬২ বছরের ওই প্রৌঢ়। মাত্র দু’ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। চিকিৎসায় ধরা পড়ে, তাঁর মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্রন্থির কাছেই বাসা বেঁধেছে একটি টিউমার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩১

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দৃষ্টিশক্তি বাঁচাতে নাক দিয়ে বের করা হল মস্তিষ্কের টিউমার! দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতাল এই অস্ত্রোপচারটি করে নজির গড়েছে। জটিল অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ রয়েছেন রোগী।

Advertisement

গত জুলাই মাসে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি নিয়ে চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হন ৬২ বছরের ওই প্রৌঢ়। মাত্র দু’ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছিলেন তিনি। চিকিৎসায় ধরা পড়ে, তাঁর মস্তিষ্কে পিটুইটারি গ্রন্থির কাছেই বাসা বেঁধেছে একটি টিউমার। হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক মনিক গর্গ জানাচ্ছেন, এই রোগকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় পিটুইটারি অ্যাডিনোমা। এই টিউমারের ফলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রোগীর দৃষ্টিশক্তি। এর পর টিউমারটি বাদ দিতে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। তিন ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচারের পর নাক দিয়ে বার করা হয় টিউমারটিকে। এখন সুস্থ রয়েছেন রোগী।

মনিক জানাচ্ছেন, পিটুইটারি অ্যাডিনোমায় অপটিক স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে দৃষ্টিশক্তি। এ ছাড়া দেখা দেয় হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মাথাব্যথার মতো উপসর্গও। এ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারেও রয়েছে ঝুঁকি। রোগীর মস্তিষ্কের কলাস্তর সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে। সম্পূর্ণ হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তিও। তাই নাসিকা পথে টিউমারটি বার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে দিল্লির ওই চিকিৎসকদের দল। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ট্রান্সন্যাসাল ট্রান্সফেনয়েডাল পদ্ধতি, যেখানে স্ফেনয়েড সাইনাসের মাধ্যমে মস্তিষ্কে প্রবেশ করা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর এখন ছ’ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছেন ওই রোগী। চিকিৎসকদের বিশ্বাস, শীঘ্রই তাঁর অবস্থার আরও উন্নতি হবে। তবে জটিল অস্ত্রোপচারের নজির গড়ে খুশি চিকিৎসকেরা। ওই হাসপাতালেরই আর এক চিকিৎসক পুনীত কান্ত জানাচ্ছেন, মস্তিষ্কের যাবতীয় টিউমারের প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী পিটুইটারি অ্যাডিনোমা। আর এ ধরণের টিউমারের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে নাসাপথে সার্জারি করাই ভাল। অস্ত্রোপচারটি জটিল হলেও তাতে রোগীর অন্যান্য ক্ষতির ঝুঁকি কমে।

আরও পড়ুন
Advertisement