Salman Rushdie Book

সরকারি বিজ্ঞপ্তিই ‘উধাও’! রুশদির লেখা বই আমদানির উপর ৩৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা উঠল দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে

১৯৮৮ সাল থেকে সলমন রুশদির ওই বইটির আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটির উপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫১
সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বই আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের।

সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বই আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের। —ফাইল চিত্র।

সলমন রুশদির লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটি বিদেশ থেকে কিনে আনার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিল দিল্লি হাই কোর্ট। ১৯৮৮ সালে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ওই বইটি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস্‌’ আদালতে জানিয়েছে, প্রায় সাড়ে তিন দশক আগের ওই নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিটি এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই হাই কোর্ট ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

রুশদির ওই বইটি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সন্দীপন খান নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য ছিল, নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে তিনি বইটি বিদেশ থেকে আনতে পারছেন না। বইটি আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে কোনও বিজ্ঞপ্তিও কোনও সরকারি ওয়েবসাইটে তিনি পাননি বলে জানান আদালতে। তথ্য জানার অধিকার আইনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে তাঁকে জানানো হয়েছিল বইটির উপর নিষেধাজ্ঞা করেছে।

তবে প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে যে আধিকারিক এই নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করেছিলেন, তিনিও এর কোনও অনুলিপি দেখাতে পারেননি। মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি রেখা পাল্লি এবং বিচারপতি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ মামলাটির শুনানি ছিল। আদালত জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বইটির উপর এই ধরনের কোনও নিষেধাজ্ঞার অস্তিত্ব নেই বলে ধরে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ফলে মামলাকারীকে ওই বইটিকে দেশে আনার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টের এই নির্দেশের ফলে রুশদির ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইটির উপর থেকে ৩৬ বছরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হল।

আরও পড়ুন
Advertisement