delhi

‘এটা ট্রেলার মাত্র’, দিল্লির বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠিতে বাড়ছে রহস্য

ইজরায়েল থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল আসছে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তের জন্য। শনিবারই ওই দলটির রাজধানী পৌঁছনোর কথা।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৪৫
এপিজে আব্দুল কালাম রোডের এখানেই হয় বিস্ফোরণ—পিটিআই

এপিজে আব্দুল কালাম রোডের এখানেই হয় বিস্ফোরণ—পিটিআই

শুক্রবার রাতে নয়াদিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি প্যাকেট। পুলিশি সূত্রে খবর, ওই প্যাকেটের গায়ে একটি চোট চিঠি (নোট) আটকানো ছিল। তাতে লেখা ছিল ‘এটা ট্রেলার মাত্র’। চিঠিটি ইজরায়েলি দূতাবাসের উদ্দেশে ‘বার্তা’ বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইজরায়েল থেকে বিশেষ তদন্তকারী দল আসছে ঘটনার তদন্তের জন্য। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাহায্য করার জন্য শনিবারই ওই দলের দিল্লি পৌঁছনোর কথা।

বিস্ফোরণের পর ইতিমধ্যেই দিল্লি-মুম্বইয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইবি এবং এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসাররা ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক লেগে থাকা কিছু বল বিয়ারিং উদ্ধার করেছেন। একটি আধপোড়া গোলাপি দোপাট্টাও উদ্ধার হয়েছে। এই সব কিছু পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য।

Advertisement

এর আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের একটি গাড়িতে ‘স্টিকার বোমা’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার পিছনে ইরানের মদতেপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবারের বিস্ফোরণের পিছনেও ইরান-যোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না ইজরায়েল। শুক্রবার বিকেলের এই বিস্ফোরণকেও তারা ‘জঙ্গি হামলা’ হিসাবেই দেখছে।

শুক্রবার বিকেলে এপিজে আব্দুল কালাম রোডে অবস্থিত ওই দূতাবাসের সামনে স্বল্প তীব্রতার বিস্ফোরণ হয়। কেউ হতাহত হননি। তবে কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, দূতাবাসের প্রায় দেড়শো মিটার দূরে একটি আবাসনের সামনের ফুটপাথে প্লাস্টিকের প্যাকেটের মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় বিস্ফোরক রাখা ছিল। ওই প্লাস্টিকের প্যাকেটের গায়েই আটকানো ছিল ওই চিঠি।

যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়, সেটি দিল্লির উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে পড়ে। বিস্ফোরণস্থল থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রাইসিনা হিলসের বিজয় চকে তখন ‘বিটিং রিট্রিট’ (প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান) চলছিল। হাজির ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই নিরাপত্তার কারণে এলাকা ঘিরে বেষ্টনী তৈরি করে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)।

ইতিমধ্যেই দিল্লি বিমানবন্দর-সহ বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি-র কথা হয়েছে। দুই দেশই এই ঘটনার তদন্তে সাহায্য করার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement