Future Ready Combat Vehicles

পাক-চিনের মোকাবিলায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটির অস্ত্র পাবে সেনা, কেনা হবে ভবিষ্যতের ট্যাঙ্ক

‘ভবিষ্যতের যুদ্ধ যানে’র ভেতরে ঢুকলে এক ঝলকে মনে হবে কোনও হাই কনফিগারেশন গেমিং সিস্টেম। বিশাল বিশাল টাচ স্ক্রিন, ট্যাঙ্কের চারদিকে যা ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিশন’ নজরদারির সুবিধা এনে দিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

Advertisement

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, সেনার তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ু) পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন উপকূলরক্ষী বাহিনী (কোস্ট গার্ড)-র জন্য সমরাস্ত্র এবং সরঞ্জাম কেনা হবে এই অর্থে। তালিকায় রয়েছে ১০টি প্রস্তাব। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভারতীয় সেনার আর্মাড কোরগুলির জন্য ‘ভবিষ্যতের যুদ্ধ যান’ (ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকল্‌স বা এফআরসিভি)। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) দ্বারা পরিচালিত এই অত্যাধুনিক সাঁজায়ো গাড়ি এক শতকের পুরনো ট্যাঙ্ক যুদ্ধের ধারায় অদূর ভবিষ্যতেই আমূল পরিবর্তন আনবে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত।

‘ভবিষ্যতের যুদ্ধ যানে’র ভেতরে ঢুকলে এক ঝলকে মনে হবে কোনও হাই কনফিগারেশন গেমিং সিস্টেম। বিশাল বিশাল টাচ স্ক্রিন, ট্যাঙ্কের চারদিকে যা ‘৩৬০ ডিগ্রি ভিশন’ নজরদারির সুবিধা এনে দিয়েছে। ভিডিয়ো গেমের মতো কন্ট্রোলার দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ট্যাঙ্কটি। তিন জন সেনাই এই সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ন্ত্রণের পক্ষে যথেষ্ট। ডিএসি-র মঙ্গলবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, ভারতীয় সেনার জন্য ১৭৭০টি এফআরসিভি কেনা হবে। যার জন্য আনুমানিক খরচ হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা।

পরিবর্তিত সামরিক কৌশলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঝারি ওজনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের চাহিদা বেড়েছে। ভারতীয় সেনা চাইছিল এমন এক ধরনের ব্যাটল ট্যাঙ্ক যেগুলো পরিবর্তিত রণকৌশলের সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে কড়া মোকাবিলা করতে পারে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে এফআরসিভি খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেবে। দিনে-রাতে সমান দক্ষতার সঙ্গে এই ট্যাঙ্ক কাজ করতে পারবে। পাহাড়, মরুভূমি অঞ্চলেও এই ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা হতে পারে। বিশেষজ্ঞেরা আরও বলছেন, হিমাঙ্কের নীচে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, পাশাপাশি ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেও এই ট্যাঙ্ক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে।

আরও পড়ুন
Advertisement