Durgapuja in Purbachal Shakti Sangha

কলকাতার জনপথে ছড়িয়ে থাকা মূর্তিগুলি সম্পর্কে কতটুকু জানেন? সেই ইতিহাস দেখতে চলে আসুন পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘে

এই শহরের জনপথের পাশে ছড়িয়ে থাকা মূর্তি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের চিহ্ন। প্রাক্ স্বাধীনতা কাল থেকে সেই সময়কার শিল্প, সমাজ ও রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষ বহন করছে এই মূর্তিগুলি।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৫
পূর্বাচল শক্তি সংঘের প্রতিমা

পূর্বাচল শক্তি সংঘের প্রতিমা

প্রতিদিন কলকাতার রাস্তায় যাওয়া-আসার পথে যে মূর্তিগুলি চোখের সামনে পরে, কখনও ভেবে দেখেছেন সেই মূর্তিগুলির ইতিহাস কী! সেই ‘কলকাতার মূর্তিকথা’ জানতে আসতে হবে পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘে।

Advertisement

এই শহরের জনপথের পাশে ছড়িয়ে থাকা মূর্তি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসের চিহ্ন। প্রাক্ স্বাধীনতা কাল থেকে সেই সময়কার শিল্প, সমাজ ও রাজনৈতিক ঘটনার সাক্ষ বহন করছে এই মূর্তিগুলি।

কিন্তু কেন এই ভাবনা?

শিল্পী পার্থ দাশগুপ্তর কথায়, “আমরা যে দুর্গা পুজো করছি, তা তো আসলে মূর্তি পুজোই। পাল, সেন যুগের আগে প্রতীকী পুজো হতো। বুদ্ধের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমাকল্প তৈরি হল। তার পর মূর্তি পুজো শুরু হলো। কলকাতার জননায়কদের যে মূর্তি, সেটাও মূর্তি। সেগুলি পথের ধারের মূর্তি। আমার চিন্তা-ভাবনা ছিল জনপথের পাশের মূর্তিদের নিয়ে। আর দুর্গা মূর্তি যখন বাড়ি থেকে বারোয়ারি হল, সেও তো রাজপথে নেমে আসল।”

তবে এই চিন্তা-ভাবনা শিল্পীর শুধু মাত্র কয়েক মাসের পরিশ্রম নয়। ২০১৪ সাল থেকে এই প্রজেক্টের উপর তিনি কাজ করছেন। প্রায় ১০ বছর ধরে লালন করা ভাবনাকে তিনি বাস্তবে রূপায়িত করেছেন পূর্বাচলে।

দেবীর রূপও দেওয়া হয়েছে কলকাতার মূর্তির সাদৃশ্যে। যেখানে মায়ের কোলে রয়েছে গণেশ এবং লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং কার্তিক। এরা যেন নিজেরাই প্রতিনিধিত্ব করছে ‘কলকাতার মূর্তি কথা’র।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আরও পড়ুন
Advertisement