নেপালের নদীতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ভারতীয় বাস। ছবি: পিটিআই।
নেপালের বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪১। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী গিরিশ মহাজন শুক্রবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই বাসে অধিকাংশ যাত্রীই ছিলেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাঁদের দেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে দিল্লির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। ভারতীয় বায়ুসেনা দেহগুলি কপ্টারে উড়িয়ে আনবে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নেপালে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে মোট ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটি উত্তরপ্রদেশ থেকে নেপালে গিয়েছিল। অধিকাংশই ছিলেন ভারতীয়। শুক্রবার বেলায় পোখরা থেকে কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল বাসটি। তনহুঁ জেলার মারশিয়াংড়ি নদীতে আচমকা বাস উল্টে যায়। খরস্রোতা নদীতে বাসটিকে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু যাত্রীদের অনেককেই বাঁচানো যায়নি।
মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী শুক্রবার রাতে জানিয়েছেন, নেপালের বাসটিতে ঠিক কত জন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ছিলেন, কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান তাঁদের হাতে আসেনি। তবে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। নেপালের প্রশাসন এবং ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছে মহারাষ্ট্র সরকার। এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেও জানান, তিনি নেপালের বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেছেন। দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কেন্দ্র মহারাষ্ট্র সরকারকে সবরকম সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় বায়ুসেনা ২৪টি দেহ শনিবারই দেশে ফিরিয়ে আনবে। প্রথমে মহারাষ্ট্রের নাসিকে নিয়ে আসা হবে দেহগুলি। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের ভারতীয় যাত্রীরা নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পোখরা শহরের একটি রিসর্টে ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে তাঁদের নিয়ে বাসটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। বাসটিতে ছিল উত্তরপ্রদেশের নম্বরপ্লেট। কাঠমান্ডু যাওয়ার পথে ঘটে দুর্ঘটনা। কী ভাবে বাসটি রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। নেপাল প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।