Chandrababu Naidu

রাতভর জেরার পর কোর্টে পেশ করা হল চন্দ্রবাবুকে, আদালতের বাইরে জড়ো হলেন টিডিপি সমর্থকেরা

রবিবার সকালে চন্দ্রবাবুকে বিজয়ওয়াড়ায় দুর্নীতি বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়। তারও আগে ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় প্রবীণ এই রাজনীতিকের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:১৭
Day after arrest, TDP chief Chandrababu Naidu produced in Court

চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।

‘অন্ধ্রপ্রদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ মামলায় ধৃত চন্দ্রবাবু নায়ডুকে আদালতে পেশ করল তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শনিবার সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করার পর মধ্যরাত অবধি জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে। রবিবার সকালে চন্দ্রবাবুকে বিজয়ওয়াড়ায় দুর্নীতি বিরোধী আদালতে পেশ করা হয়। তারও আগে ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয় প্রবীণ এই রাজনীতিকের।

Advertisement

ভোর থেকেই আদালতের সামনে জড়ো হতে থাকেন টিডিপি সমর্থকেরা। চন্দ্রবাবুর সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আদালতে ঢোকেন চন্দ্রবাবু। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা এবং অন্য আইনজীবীরা। নিম্ন আদালতের বিচারক এখনও রায় ঘোষণা করেননি বলে জানা গিয়েছে। তবে সিআইডি সূত্রে খবর, দুর্নীতি মামলায় চন্দ্রবাবুকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত দশ বছর জেলে থাকতে হতে পারে চন্দ্রবাবুকে। যদিও তাঁর গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে চন্দ্রবাবুর দল। অশান্তি এড়াতে টিডিপির কয়েক জন শীর্ষনেতাকে বাড়িতেই আটক করে রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে তেলঙ্গানা-অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানায়। এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির দলের তরফে বলা হচ্ছে, চন্দ্রবাবুর রাজনীতিকে অহেতুক ‘রাজনীতির মোড়ক’ দেওয়া হচ্ছে। চন্দ্রবাবুর শাসনকালে হওয়া এই দুর্নীতির তদন্তে কেন টিডিপি সরকার সক্রিয় হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।

সিআইডি সূত্রে খবর, যে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ মামলায় চন্দ্রবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে অন্তত ২০টি প্রশ্ন করা হলেও, তার একটিরও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রবীণ এই রাজনীতিক। ৩৭১ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার প্রমাণ হিসাবে বেশ কিছু হোয়াট্‌সঅ্যাপ চ্যাটও নাকি চন্দ্রবাবুকে দেখিয়েছেন তদন্তকারীরা। এই মামলার প্রাথমিক এফআইআরে চন্দ্রবাবুর নাম ছিল না, এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। সিআইডির তরফে জানানো হয়, তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ২০১৫ সালে চন্দ্রবাবু যখন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন অন্ধ্রের ছেলেমেয়েদের বিবিধ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করে সে রাজ্যের সরকার। মউয়ে বলা ছিল এই প্রকল্পের দশ শতাংশ খরচ বহন করবে সরকার আর বাকি ৯০ শতাংশ ওই বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, চুক্তি মোতাবেক বেসরকারি সংস্থাটি টাকা দেয়নি। সরকারি কোষাগার থেকেই যাবতীয় ব্যয় হয়েছিল। আর বেসরকারি সংস্থাটির না দেওয়া টাকা নাকি ঘুরপথে গিয়েছিল একাধিক ছোট-বড় ভুয়ো সংস্থায়।

আরও পড়ুন
Advertisement