উত্তরপ্রদেশে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে দলিত কিশোরের গায়ে প্রস্রাব এবং বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ। অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হল বছর ১৬-র কিশোর। উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা এবং অভিযুক্তকে আড়াল করার অভিযোগ উঠেছে।
মৃত কিশোরের পরিবার জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় এক জনের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই কিশোর। অভিযোগ, সেখানেই ওই দলিত তরুণকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। গায়ে করে দেওয়া হয় প্রস্রাবও। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভিডিয়োটি মুছে দেওয়ার অনুরোধ করলে ওই কিশোরকে থুতু চাটতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনায় অপমানিত ওই কিশোর বাড়িতে এসে পুরো বিষয়টি জানায়। তার পরেই সবার চোখের আড়ালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। প্রথমে ছেলের দেহ নিয়ে স্থানীয় থানায় যান মা। অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ পরিবারের বক্তব্যই শুনতে চায়নি। সেখান থেকে ছেলের দেহ নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে যান মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা। সেখানে অনেক টালবাহানার পর পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয় বলে জানিয়েছে কিশোরের পরিবার।
কিশোরের মায়ের অভিযোগ, কী কারণে তাঁর ছেলের উপরে অত্যাচার করা হল, তা স্পষ্ট না-হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে অভিযুক্তদের বাঁচাতে চাইছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বস্তির সহকারী পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার ত্রিপাঠী বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব।”