CPM MLA M Mukesh

ধর্ষণের অভিযোগে কেরলে সিপিএম বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর, দল বলল, ইস্তফার প্রয়োজন নেই!

বৃহস্পতিবার কেরলের সিপিএমের নেতা তথা ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক ইপি জয়রাজন বলেন, ‘‘এর আগে দু’জন কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁরাও ইস্তফা দেননি।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৩:৩২
অভিযুক্ত অভিনেতা-বিধায়ক মুরেশ।

অভিযুক্ত অভিনেতা-বিধায়ক মুরেশ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার মামলায় অভিযুক্ত কেরলের সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশ পাশে পেলেন দলকে। বৃহস্পতিবার কেরল সিপিএমের নেতা ক্ষমতাসীন বাম জোট এলডিএফের আহ্বায়ক ইডি জয়রাজন জানিয়ে দিলেন মুকেশের ইস্তফা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

Advertisement

কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইতিমধ্যেই মুকেশের ইস্তফার দাবিতে সরব হয়েছে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে বৃহস্পতিবার জয়রাজন বলেন, ‘‘এর আগে কংগ্রেসের বিধায়ক এম ভিনসেন্ট এবং এলধোস কুন্নাপিলির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁরা কেউই ইস্তফা দেননি। আগে তাঁরা পদত্যাগ করুন। তার পরে মুকেশের বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন।’’

এলডিএফের আর এক বাম শরিক সিপিআইয়ের নেত্রী অ্যানি রাজা বুধবার মুকেশের ইস্তফা চেয়ে জোটের অন্দরে সরব হয়েছিলেন বলে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে জয়রাজনের মন্তব্য, ‘‘যে কেউ, যে কোনও দাবি তুলতে পারেন। আমাদের সরকার একটু প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কোনও দোষী ছাড় পাবেন না।’’

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকে মুকেশ-সহ মালয়ালি চলচ্চিত্র জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের পুলিশ ইতিমধ্যেই জামিন অযোগ্য ধারায় কোল্লমের সিপিএম বিধায়ক তথা অভিনেতা মুকেশের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। বুধবার রাতে কোচি শহরের মারাদু থানায় ধর্ষণের এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। তার পরেই ওঠে মুকেশের ইস্তফার দাবি।

আরও পড়ুন
Advertisement