সীতারাম ইয়েচুরি। ফাইল চিত্র।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অবস্থা সঙ্কটজনক। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানাল হল। এই প্রথম দলগত ভাবে ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে ‘রেসপিরেটরি সাপোর্টে’ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি দল ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন। দলীয় সূত্রে খবর, ইয়েচুরির ফুসফুসের এক দিকে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেই সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে ফুসফুসের বাকিং অংশেও।
সপ্তাহখানেক আগে ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সেই সময়ে সিপিএমের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছিল, কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত করে বলছে। দলের তরফে এ-ও বলা হয়েছিল, ইয়েচুরি চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার দলের বিবৃতিতেই ইয়েচুরির অবস্থাকে সঙ্কটজনক বলে উল্লেখ করা হল।
সূত্রের খবর, গত দু’-তিন দিন ধরেই দলীয় নেতারা ঘরোয়া বৈঠকে আলোচনা করেন যে, চিকিৎসকেরা তাঁদের জানিয়েছেন যে, ইয়েচুরির ফুসফুসে সংক্রমণ থাকায়, পরিস্থিতি কখনও ভাল, কখনও আবার খারাপ হচ্ছে। প্রচুর ধূমপান করতেন। ফলে নিউমোনিয়া থেকে ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই সংক্রমণের কারণে তিনি দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কোনও কোনও মহল থেকে চাউর হয়েছিল যে, ইয়েচুরিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। যদিও পরে এই খবরকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পর শুক্রবার ইয়েচুরির শারীরিক অবস্থা নিয়েও বিবৃতি দেয় সিপিএম।
গত ২০ অগস্ট থেকে ইয়েচুরি এমসে চিকিৎসাধীন। ২২ অগস্ট প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভাতেও সশরীরে কলকাতায় হাজির থাকতে পারেননি তিনি। হাসতাপাতাল থেকেই একটি ভিডিয়োবার্তা পাঠিয়েছিলেন। তার আগে গত ৭ অগস্ট ইয়েচুরির চোখের ছানি অস্ত্রোপচার হয়েছিল। যে কারণে ৯ অগস্ট বুদ্ধদেবের শেষযাত্রাতেও থাকতে পারেননি দলের সাধারণ সম্পাদক।