তবে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে কেউ প্রাণ হারাননি। —ফাইল চিত্র।
ভারতে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার দেশে দৈনিক করোন আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছিল। পাঁচ মাস পর আবার সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। রাজধানীতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার দিল্লিতে ৫০৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,৭৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৩৩৫। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক ধাক্কায় রাজধানীতে বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণের হার বা পজ়িটিভিটি রেটও। মঙ্গলবার দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১৫.৬৪ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.৫৪ শতাংশে। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজ়িটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড সংক্রমণ থেকে ৪২৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে কেউ প্রাণ হারাননি। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি আগে থেকেই সামাল দিতে দিল্লির হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
দিল্লির মেয়র শেলি ওবেরয় এই প্রসঙ্গে বুধবার জানিয়েছেন, হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ওষুধপত্র এবং অক্সিজেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসক এবং পৌর নিগমের আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকও করা হয়েছিল। শেলি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘‘চিন্তার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিল্লি সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে সম্পূর্ণ তৈরি।’’