বেপরোয়া অটোচালককে নমাজের মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ আদালতের। প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে অটো চালাতে গিয়ে একটি মোটরবাইককে ধাক্কা মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ের আটোচালক উমর খান নিজের দোষ স্বীকার না করে উল্টে মারধর করেন সেই বাইকচালককে।
২০১০ সালে মালেগাঁওয়ের পাওয়ারলুম এলাকার সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত উমরকে অভিনব শাস্তি দিল মালেগাঁও আদালত। কারাদণ্ডে বদলে তাঁকে দিনে ৫ বার নমাজ পড়া এবং ২টি গাছ লাগানোর শাস্তি দিয়েছেন বিচারক তেজবন্ত সান্ধু।
বিচারক জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালের অপরাধ দমন আইনের ৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী এক জন বিচারক তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে দোষীকে মুক্তি দিয়ে অপরাধমূলক প্রবণতা সংশোধনের সুযোগ দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তিনি সেই বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাইকচালকের অভিযোগের ভিত্তিতে উমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা), ৩২৫ (গুরুতর জখম করা), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত ভাবে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) ধারায় মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩২৩ ধারায় তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। সাধারণ ভাবে এ ক্ষেত্রে জেল এবং জরিমানার সাজা বরাদ্দ হলেও ‘মাথা গরম’ হিসাবে পরিচিত উমরকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন বিচারক সান্ধু।