(বাঁ দিকে) মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
যে ভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে বেছে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি জানাল কংগ্রেস। বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে নিজেদের বিরুদ্ধমত জানিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে লিখেছেন, ‘পারস্পরিক আলোচনা’ ছাড়াই ‘আগাম গৃহীত’ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জাতীয় মানবাবিকার কমিশনের প্রধানকে বাছা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যনকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নবম চেয়ারপার্সন হিসাবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রিয়ঙ্ক কানুনগো এবং প্রাক্তন বিচারপতি বিদ্যুৎরঞ্জন সারঙ্গীকে সদস্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ভি রামসুব্রহ্মণ্যন ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাহুল এবং খড়্গে মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যান এবং কেএম জোসেফের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কমিশনের সদস্য হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস মুরলীধর এবং আকিল আব্দুলহামিদ কুরেশির নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ‘মানবাধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে সুনাম’ রয়েছে প্রত্যেকেরই।
প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান বেছে নিতে গত ১৮ ডিসেম্বর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বৈঠকে বসে। কমিটির প্রধান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কমিটির অন্য সদস্যেরা হলেন লোকসভার স্পিকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান।
গত ১ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান হিসাবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অরুণকুমার মিশ্র অবসরগ্রহণ করার পর এত দিন ওই পদে স্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।