সনিয়া গাঁধীর উত্তরসূরি নির্বাচনে সক্রিয় কংগ্রেস। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
শেষ পর্যন্ত ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের দাবি মেনে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে কংগ্রেসে। শনিবার এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালের টুইটে তার ইঙ্গিত মিলেছে।
বেণুগোপাল টুইটারে লিখেছেন, ‘আগামী ১৬ অক্টোবর সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির ২৪ আকবর রোডে এআইসিসি-র সদর দফতরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট এবং সাংগঠনিক নির্বাচন নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে।’
A meeting of the @INCIndia Working Committee will be held on Saturday, the 16th October, 2021 at 10.00 a.m. at AICC Office, 24, Akbar Road, New Delhi to discuss current political situation, forthcoming assembly elections & Organisational elections.
— K C Venugopal (@kcvenugopalmp) October 9, 2021
দলের অন্দরে বিদ্রোহের আঁচ মিলেছিল আগেই। গত এক বছর ধরে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী তা ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করছিলেন। নানা ভাবে বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ প্রশমনের কাজও চলছিল। কিন্তু পঞ্জাব এবং ছত্তীসগঢ়ের ঘটনার জেরে ফের সরব হয়েছেন গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, মণীশ তিওয়ারিরা। দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির বৈঠকে এআইসিসি-র পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ডেকে সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে কংগ্রেসে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ২৩ জন প্রথম সারির প্রবীণ ও নবীন নেতা (গ্রুপ-২৩ বা জি-২৩ নামে যাঁরা পরিচিত ইতিমধ্যেই) । দাবি তুলেছিলেন, দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের। কিন্তু তা পূরণ হয়নি এখনও।
‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা ওই নেতারা পঞ্জাব পরিস্থিতির পর ফের সরব হয়েছেন। এমনকি, তাঁদেরই এক জন সিব্বল বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা জি-২৩। তার মানে ‘জো হুজুর-২৩’ নই মোটেই। তাই প্রশ্ন তুলে যাবই।’’