সচিন পাইলট। ফাইল চিত্র।
সচিন পাইলট কংগ্রেসেরই অশোক গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জয়পুরে অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ কংগ্রেস একে দলবিরোধী ও দলের স্বার্থ-বিরোধী কাজ বলে আখ্যা দিল। সচিনের অভিযোগ, বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিমাফিক পদক্ষেপ করা হয়নি। রাজস্থানে কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত নেতা সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়া বলেন, ‘‘সচিনের কোনও সমস্যা থাকলে দলের মধ্যে কথা বলা উচিত। গত পাঁচ মাস আমি দায়িত্বে রয়েছি। আমার সঙ্গে উনি এ বিষয়ে কথা বলেননি। আমি ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং যে-হেতু উনি দলের সম্পদ, তাই ওঁকে অনশন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছি।’’
এর আগে এক বার বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছিলেন সচিন। শেষ মুহূর্তে তাঁকে আটকানো হয়েছিল। রাজস্থানের বিধানসভা ভোটের আট মাস আগে তিনি ফের বিদ্রোহ ঘোষণা করার পর এ বার তিনি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নিজের দল গড়তে পারেন বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব আশঙ্কা করছেন।
এই লড়াইয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড যে গহলৌতের পাশেই রয়েছে, সেই বার্তা দিয়ে রবিবারই কংগ্রেস গহলৌত সরকারের প্রশংসা করেছিল। তার ভিত্তিতেই দল ভোটে যাবে জানিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রার আয়োজনেরও প্রশংসা করে। আজ কংগ্রেস পাইলটকে বার্তা দিয়েছে, কোনও অনুশাসনহীনতা বরদাস্ত করা হবে না। সমস্যা থাকলে দলের মধ্যেই কথা বলতে হবে। এআইসিসি-তে রাজস্থানের ভারপ্রাপ্ত সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়াকে দুই শিবিরের সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্টো দিকে পাইলট শিবিরের অভিযোগ, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময় গহলৌত নিজে দলের নির্দেশ মানেননি। সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ হল না কেন!
কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা আজ পাইলটের অভিযোগ খারিজ করে বলেছেন, রাজস্থানে বিজেপির নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের বিরুদ্ধেই তদন্ত চলছে। ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ঠিক নয়।