(বাঁ দিকে) সনিয়া গান্ধী এবং জেপি নড্ডা। — ফাইল চিত্র।
জীবনে প্রথম বার রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়িয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। শনিবার মরুরাজ্য থেকে সনিয়া-সহ মোট তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদের উচ্চকক্ষে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দু’জন হলেন, বিজেপির চুন্নিলাল গারসিয়া এবং মদন রাঠৌর।
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। সে রাজ্যের চারটি রাজ্যসভা আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন বিজেপির প্রার্থীরা। অন্য তিন জয়ী হলেন, গোবিন্দভাই ঢোলাকিয়া, ময়াঙ্কভাই নায়েক এবং যশবন্তসিন পারমার।
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। রাজস্থান থেকে অবসর নেবেন ছয় বারের রাজ্যসভার সদস্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব এবং কিরোরীলাল মীনা। বিধায়ক সংখ্যার হিসাবে বিজেপির দু’টি এবং কংগ্রেসের একটি আসনে জেতার কথা ছিল। কোনও দল বাড়তি প্রার্থী না দেওয়ায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোটাভুটি হচ্ছে না রাজস্থানে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার ভোট হয় রাজ্যের (এবং দিল্লি, পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের) বিধায়ক সংখ্যার আনুপাতিক হারে। বিধায়কেরা তাঁদের পছন্দের ভোট দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচন করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সাত বার লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন সনিয়া। এর মধ্যে ১৯৯৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রায়বরেলীর পাশাপাশি, কর্নাটকের বল্লারীতে জয়ী হন তিনি। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে জেতার পরে ‘লাভজনক পদ’ বিতর্কে ইস্তফা দেওয়ার পরে ২০০৬ সালে রায়বরেলী থেকে উপনির্বাচনে জিতে এসেছিলেন।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে জিতে আসার পরেই সনিয়া ঘোষণা করেছিলেন শারীরিক কারণে আর তার পক্ষে সংসদের নিম্নকক্ষের ভোটে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পর গান্ধী পরিবারে দ্বিতীয় সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় আসবেন সনিয়া। ১৯৬৪-র এপ্রিল থেকে ১৯৬৭-র ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন ইন্দিরা। এ বারের রাজ্যসভা ভোটে রাজস্থানের তিনটি আসনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তীসগঢ়ের এক, গুজরাতের চার, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরপ্রদেশের ১০, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওড়িশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হবেন।