Bharat Jodo Yatra

মোদীর রাজ্য থেকে এ বার রাহুলের দ্বিতীয় ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু, শেষ হতে পারে মেঘালয়ে

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ৩,৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ১৩৫ দিন পর তা শেষ হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৩ ২১:০৯
Congress leader Rahul Gandhi may undertake 2nd phase of Bharat Jodo Yatra from Gujarat to Meghalaya

ভারত জোড়া যাত্রায় রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের পর এ বার গুজরাত থেকে মেঘালয়ে। দক্ষিণ থেকে উত্তরের অনুকরণে পশ্চিম থেকে পূর্বে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে আরও একটি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে বলেন, ‘‘দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ গুজরাত থেকে শুরু হবে। শেষ হবে মেঘালয়ে।’’ তিনি জানান, রাহুলের ওই যাত্রা চলাকালীনই মহারাষ্ট্র জুড়ে একটি সমান্তরাল পদযাত্রা চলবে কংগ্রেসের। তাতে যোগ দিতে আসতে পারেন রাহুল।

Advertisement

গত বছরের গত ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ৩,৫৭০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দেশের ১২টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছুঁয়ে ১৩৫ দিন পর তা শেষ হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি উপত্যকায় প্রবল তুষারপাতের মধ্যেই সমাপ্তি বক্তৃতা করেছিলেন রাহুল। তবে রাহুলের ওই যাত্রা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যকে ছোঁয়নি। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছিল বিজেপি। যদিও ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে গুজরাত বিধানসভা ভোটে দু’টি প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন রাহুল।

বিজেপির কটাক্ষের জবাবে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, এই পদযাত্রার সঙ্গে রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ভারতকে একসূত্রে বাঁধতে যাঁরা চান, তাঁদের প্রত্যেকেই এই পদযাত্রায় যুক্ত হতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল ‘হাত’ শিবিরের তরফে। যদিও রাজনীতির পরিসংখ্যান বলছে, রাহুলের যাত্রাপথের কর্নাটক এবং হিমাচলে বিজেপিকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় পর্বের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সুফল ভোটের ময়দানে মিলবে বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের একাংশ।

গত অক্টোবরে মল্লিকার্জুন খড়্গের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে লোকসভা নির্বাচনের জন্য গড়েছিলেন বিশেষ ‘টাস্ক-ফোর্স’। তার প্রথম বৈঠকেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র দ্বিতীয় পর্বের আয়োজনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গুজরাতে না গেলেও মহারাষ্ট্রে গত ৭ নভেম্বর প্রবেশ করেছিল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। ১৬ নভেম্বর এই মরাঠাভূমেই পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন সমাজকর্মী মেধা পাটকর। ১৮ নভেম্বর যোগ দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র তুষার গান্ধী। কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গুজরাতে মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান পোরবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করতে পারেন রাহুল। যাত্রার সমাপ্তিস্থান হিসাবে মেঘালয়ের পাশাপাশি অরুণাচলের পাসিঘাটেকর নামও বিবেচনায় রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement