—প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য ভুঁইফোঁড় কোচিং সেন্টারগুলি ১৬ বছরের কম বয়সিদের ভর্তি নিতে পারবে না। তাদের ভাল র্যাঙ্ক বা ভাল নম্বর পাইয়ে দেওয়ার মতো বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া যাবে না পড়ুয়াদের। দেওয়া যাবে না বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনও। বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোনও কোচিং সেন্টার পড়ুয়াদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিলে বা অন্য কোনও অসদাচরণ করলে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। প্রয়োজনে ওই কোচিং সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন বাতিলও করা হতে পারে। কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এমন কোনও শিক্ষককে কোচিং সেন্টারগুলি নিয়োগ করতে পারবে না বলেও নির্দেশিকাতে বলা রয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, কোচিং সেন্টারগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা না থাকলে সেই সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন হবে না। পড়াশোনার পাশাপাশি জোর দিতে হবে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে।
শিক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিত্যনতুন গজিয়ে ওঠা কোচিং সেন্টারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এবং পুরো বিষয়টিকে একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রকের ওই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, ‘‘কোচিং সেন্টারগুলিতে যে শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে, তাঁদের কমপক্ষে স্নাতক হতে হবে। কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানোর জন্য অভিভাবকদের বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি কোনও কোচিং সেন্টার ১৬ বছরের কম বয়সি পড়়ুয়াদেরও ভর্তি করতে পারবে না। করা উচিতও নয়। দশম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই এক মাত্র পড়ুয়াদের কোচিং সেন্টারে রেজিস্ট্রেশন করা উচিত।’’
এর আগে পড়ুয়াদের আত্মহত্যা, কোচিংয়ের মধ্যে উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং সেখানে শিক্ষার পদ্ধতি নিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করল সরকার।