এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাবা-মায়ের ফোন থেকে সমাজমাধ্যম ঘাঁটত কিশোরী। সেখানেই একাধিক বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল। সেই পাতানো বন্ধুর ডাকে সাড়া দিতে গিয়েই হল বিপদ। ১০ বছরের কিশোরীকে অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ১৬ বছরের কিশোরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আটক করে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
গুজরাতের আরাবল্লী জেলার ধানসুরা গ্রামের ঘটনা। সেখানে মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যেরা তার খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু পরিচিতদের মধ্যে কোথাও কিশোরীকে পাওয়া যায়নি। এর পর পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। নিখোঁজ ডায়েরি পেয়ে কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। প্রযুক্তির সাহায্যে কিশোরী এবং অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্তের বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাবা-মায়ের হাতের তুলে দেয় পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সারা দিন ফোন ঘাঁটত কিশোরী। তার মায়ের ফোন থেকে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিল সে। সেখানেই অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হয়। দিনরাত ফোনে তার সঙ্গে গল্প করত ওই কিশোরী। ফোনে কথাও হত দু’জনের। সম্প্রতি ফোন করে কিশোরীকে নিজের বাড়িতে ডেকেছিল অভিযুক্ত, জানতে পেরেছে পুলিশ। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী এবং তার নাবালিকা দিদি মিলে বাবা এবং মায়ের ফোনে অন্তত সাতটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তার মধ্যে দু’টি অ্যাকাউন্ট সক্রিয় ছিল। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কিশোরী এবং তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।