CJI DY Chandrachud

‘ভয় দেখাবেন না, আমার এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান’, কেন এত রেগে গেলেন দেশের প্রধান বিচারপতি?

আইনজীবীদের চেম্বারের জন্য জমি বরাদ্দের আবেদনের তালিকা নিয়ে শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন মেজাজ হারান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৩ ১৯:১০
CJI loses temper against Bar association president.

বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় মেজাজ হারালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল ছবি।

বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন মেজাজ হারালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বৃহস্পতিবার শুনানির মাঝে রেগে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভর্ৎ‌সনার মুখে পড়েন সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বিকাশ সিংহ। প্রধান বিচারপতি তাঁকে এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেন।

আইনজীবীদের চেম্বারের জন্য জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত আবেদনের তালিকা নিয়ে শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি পিএস নরসিংহ এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চে। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বেঞ্চের কাছে জানান, তাঁরা গত ৬ মাস ধরে আবেদনগুলি শুনানির জন্য নথিভুক্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু মামলাগুলি তালিকাভুক্ত হচ্ছে না। বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য মাত্র একটি ব্লক বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই জমিতে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল পূর্বতন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার আমলে। কিন্তু গত ৬ মাস ধরে কোনও অগ্রগতি হয়নি।

Advertisement

এ বিষয়ে আলোচনা চলাকালীন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় প্রধান বিচারপতি এবং বিকাশের মধ্যে। বিকাশকে থামিয়ে দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘এ ভাবে জমির দাবি জানানো যায় না। এখানে আমরা কেউ চুপচাপ কোনও কাজ না করে বসে নেই।’’

উত্তরে বিকাশ প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমি বলিনি আপনারা সবাই কাজ না করে চুপচাপ বসে আছেন। আমি শুধু মামলাগুলি নথিভুক্ত করতে চাইছি। যদি তা না করা হয়, আমাকে বিষয়টি আপনার ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। কারণ, আমি চাই না বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই আচরণ করা হোক।’’

এ কথা শুনেই মেজাজ হারান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতিকে এ ভাবে ভয় দেখাবেন না। আমার এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান। এ ভাবে আপনার মামলা তালিকাভুক্ত করা যাবে না। আমাকে ভয় দেখিয়ে আপনি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন না।’’ বিকাশকে গলার স্বর নিচু করে কথা বলার নির্দেশও দেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি আরও জানান, আগামী ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে। সে দিন প্রথমেই মামলাটি শোনা হবে না। ধারাবাহিক নম্বর অনুযায়ী যখন বার অ্যাসোসিয়েশনের পালা আসবে, তখন শুনানি শুরু হবে। অর্থাৎ, বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

অভিযোগ, এর পরেও শান্ত হননি বিকাশ। তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা কাটাকাটি চালিয়ে যান। তাঁকে থামিয়ে দিয়ে পরের মামলার শুনানি শুরু করে দেন বিচারপতি। পরবর্তী সময়ে, বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।

আরও পড়ুন
Advertisement