India-China

সীমান্তে শান্তি ফিরলে সম্পর্ক ঠিক হবে, চিনা রাষ্ট্রদূতকে বিদায়ী বৈঠকে বললেন জয়শঙ্কর

২০২০-র জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সে সময় সান উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫০
সাউথ ব্লকে সান এবং জয়শঙ্করের বৈঠক।

সাউথ ব্লকে সান এবং জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

গালওয়ানে সংঘর্ষের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত ও চিন সেনার উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভারতে নিযুক্ত সেই চিনা রাষ্ট্রদূত সান উইদং বুধবার বিদায়ী সাক্ষাৎ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। সেখানে সান বলেন, ‘‘দু’দেশের গুরুতর কোনও মতপার্থক্য না থাকলেও সীমান্তে উত্তেজনা স্বাভাবিক ঘটনা।’’

ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার বিদায়ী বক্তৃতায় সান বলেছিলেন, ‘‘কিছু মতপার্থক্য থাকলেও ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।’’ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সাউথ ব্লকে বিদায়ী চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার এ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর জানান, সীমান্তে শান্তি ফিরলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, এবং তা এশিয়া এবং গোটা বিশ্বের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে।

Advertisement

২০২০-র জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিনা সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘাতের জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সে সময় সান নয়াদিল্লিকে ‘বার্তা’ দিয়েছিলেন, পড়শি দেশকে শত্রু ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তিনি বলেছিলেন, ‘‘তিক্ততা ভুলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কী ভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে দুই দেশকে।’’ তাঁর ওই বিবৃতির পরেই সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছিল।

লাদাখ-কাণ্ডের পর নয়াদিল্লি-বেজিং আর্থিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কেও ভাটার টান এসেছিল। সে সময় একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে প্রসঙ্গে সান বলেছিলেন, ‘‘সংঘাতের পরিস্থিতিতেও ভারতকে নিয়ে চিনের মত বদলায়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও ছেদ পড়েনি। কিন্তু গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনও দেশের পক্ষেই আত্মনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বায়নের যুগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ যত বাড়বে, ততই মঙ্গল। তবেই উন্নতিসাধন সম্ভব।’’ ভারত ছাড়ার আগে তাঁর আশা, সংঘাতের আবহ এলেও সম্পর্কে ছেদ পড়বে না দুই প্রতিবেশীর।

আরও পড়ুন
Advertisement