Religion

রাতারাতি ধর্মান্তরণ! বদলে যাচ্ছে শিশুদের নাম, সরকারি সাহায্যে চলা হোমের ‘কীর্তি’ ফাঁস

জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের নজরে এসেছে বিষয়টি। পুলিশকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে তারা। কিন্তু তার পরও পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে চায়নি। মধ্যপ্রদেশের ঘটনা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩৩
অজান্তেই ধর্মান্তরকরণ হচ্ছে শিশুর।

অজান্তেই ধর্মান্তরকরণ হচ্ছে শিশুর। প্রতীকী ছবি।

অনাথ শিশুদের অজান্তেই বদলে দেওয়া হচ্ছে তাদের ধর্ম। মধ্যপ্রদেশে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত শিশুদের হোমে এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তারা জানিয়েছে, সম্প্রতি অন্তত তিন জন শিশুকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে হোমে। কিন্তু পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পরও তারা এ নিয়ে পদক্ষেপ করতে রাজি নয়।

বিজেপি শাসিত রাজ্যের রাজধানী ভোপাল থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে ওই শিশুদের হোম। সম্প্রতি সেই হোমে পরিদর্শন চলাকালীনই গোলমাল ধরা পড়ে। দেখা যায় ওই হোমের রেজিস্ট্রারে তিন জন শিশুর ধর্ম বদল করেছেন হোমের ম্যানেজার। এমনকি রেজিস্ট্রার খাতায় তাদের নামও বদলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গেই জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। কমিশনের প্রধান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো জানিয়েছেন, ওই হোমের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতেও বলা হয় জেলাশাসককে। কিন্তু পুলিশ তার পরও এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতে চায়নি।

Advertisement

প্রিয়ঙ্ক জানিয়েছেন, অভিভাবকহীন শিশুদের এই হোমের মাথায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশের শিশু কল্যাণ কমিটি। জুভেনাইল জাস্টিস আইনে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৫ সালে। কমিটির দৌলতে নিয়মিত সরকারি সাহায্যও পায় হোমটি। পুলিশের বক্তব্য, এই হোমের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর করলে তাতে কমিটির ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করা হবে। তাই তারা এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছে, এফআইআর যদি করতেই হয় তবে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন নিজেরা অভিযোগ দায়ের করুক মধ্যপ্রদেশের ওই ‘চাইল্ড কেয়ার হোমে’র বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement