Triple Talaq

‘শাস্তির বিধান না থাকলে স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না’, তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

২০১৯ সালে আইন প্রণয়ন করে ‘তিন তালাক’কে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় আনা হয়। এটি অসাংবিধানিক হলেও যাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য না হয়, সেই আর্জি নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৪ ১৪:০৭
‘তিন তালাক’ সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিল কেন্দ্র।

‘তিন তালাক’ সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালতে হলফনামা দিল কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।

‘তিন তালাক’ প্রথাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের হলফনামা জমা দিল কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রের শীর্ষ আদালতে জানায়, “বিবাহের মতো একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তিন তালাক প্রথা বিপজ্জনক। এটি মুসলিম মহিলাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।” উল্লেখ্য, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ‘তিন তালাক’ প্রথা ভারতে বেআইনি। তবে এটিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় আনায় আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ওই মামলায় কেন্দ্রের তরফে হলফনামা তলব করেছিল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

ওই মামলায় কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, “যাঁরা তিন তালাকের শিকার হন, তাঁদের পুলিশের কাছে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু আইনে শাস্তিমূলক ধারা না থাকলে পুলিশকর্মীরা নিরুপায় বোধ করতেন। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারত না। এটি বন্ধ করার জন্যই দ্রুত কঠোর আইনি ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল।”

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগস্টে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক। এর পর ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় মুসলিম মহিলা (বিবাহের নিরাপত্তা অধিকার) আইন। ওই আইন অনুযায়ী, তিন তালাক প্রথা ভারতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ‘তিন তালাক’ প্রথাকে অসাংবিধানিক জানিয়ে দেওয়া এবং কেন্দ্র থেকে আইন প্রণয়ন করার পরেও, এই প্রথা এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। মাসখানেক আগেই স্ত্রীকে ‘তিন তালাক’ দেওয়ার অভিযোগে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে।

আরও পড়ুন
Advertisement