আইন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থার প্রস্তাব। ফাইল চিত্র
ন’মাস থেকে চার বছর বয়সের শিশু মোটরসাইকেলে চড়লে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এমনই আইন আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। মঙ্গলবারই আইনের খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে শিশুদের বসিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে। এ ছাড়া শিশু আরোহীদের চালকের সঙ্গে বেঁধে রাখার জন্য ‘সেফটি হারনেস’ ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করতে চাইছে কেন্দ্র। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, শিশু আরোহীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আইন ভঙ্গকারীদের এক হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি তিন মাসের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
ভারতে যত গাড়ি সড়ক পথে চলে তার তিন চতুর্থাংশই দু’চাকার গাড়ি। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, চালকরা হেলমেট পরলেও শিশুদের মাথা ফাঁকাই থাকে। অভিভাবকদের এই অভ্যাস বন্ধ করে শিশু আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেই আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে।
১৯৮৯ সালের কেন্দ্রীয় মোটর ভেহিকলস আইনে সংশোধন আনতে চেয়ে সড়ক পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রক এই সংশোধনের প্রস্তাব এনেছে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকে নতুন বিধি কার্যকর করতে চায় নিতিন গডকড়ীর মন্ত্রক। আইন তৈরি হয়ে গেলে সব রাজ্যকেই সেই মতো নিয়ম বদলাতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে শিশু আরোহীকে চালকের সঙ্গে বেঁধে রাখতে ‘সেফটি হারনেস’ ব্যবহার বাধ্যতামূলক। কেমন হবে ‘সেফটি হারনেস’ তা-ও নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে ‘সেফটি হারনেস’ হতে হবে টেকসই ও হালকা। আবার সেটা যেন সহজেই ছোট-বড় করা যায়। ভাল নাইলনের তৈরি হতে হবে। মাল্টিফিলামেন্ট নাইলন হলে আরও ভাল।
শিশু আরোহীর মাথায় সাধারণ মানের হেলমেট থাকলেও চলবে না। চাই আইএসআই মার্কযুক্ত হেলমেট। শিশু আরোহী থাকা মোটরসাইকেলের গতিও নিয়ন্ত্রিত চাইছে কেন্দ্র। ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতি থাকা চলবে না।