R G Kar Medical College And Hospital Incident

নির্যাতিতার ছবি, পরিচয় সরানোর নির্দেশ কেন্দ্রের

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল, কী ভাবে ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহের ছবি, নাম, পরিবারের পরিচয় সমাজমাধ্যমে চলে এল?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৫৯
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে আজ কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ফেসবুক, এক্স-এর মতো সমাজমাধ্যমের সব সংস্থাকে আর জি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের ছবি, পরিচয় সরানোর নির্দেশ দিল। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।

Advertisement

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির সময়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছিল, কী ভাবে ওই তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহের ছবি, নাম, পরিবারের পরিচয় সমাজমাধ্যমে চলে এল? আইন অনুযায়ী এই সব তথ্য, ছবি প্রকাশ্যে আসতে পারে না। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, মৃত্যুর পরেও ৩১ বছর বয়সি চিকিৎসকের সম্মান, ব্যক্তিগত পরিসরের অধিকার রক্ষায় কী করা হল? রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলও একে গুরুতর বিষয় বলে আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই ওই ছবি তোলা হয়েছিল। তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ যাওয়ার পরে মৃতদেহ ও ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ‘‘সমাজমাধ্যম ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে নির্যাতিতার ছবি, মৃতদেহের ছবি প্রকাশিত হয়েছে। তা সরিয়ে ফেলতে হবে।’’

আজ কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সমাজমাধ্যমের সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সমস্ত ছবি, ভিডিয়ো, নির্যাতিতার নাম, পরিচয় সরিয়ে ফেলতে হবে। সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে এই ছবি যাতে আর প্রকাশ্যে না আসে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না-মানলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের তরফেও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ করা হবে। এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হল, তা মন্ত্রককে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলেছে, আইনত নির্যাতিতার নাম, পরিচয়, ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই এই নির্দেশ জারি করেনি কেন!

আরও পড়ুন
Advertisement