Assam Rifles

মণিপুরে আসাম রাইফেলস সরিয়ে যাচ্ছে সিআরপি

আসাম রাইফেলস কুকিদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে অভিযোগ করে দীর্ঘদিন ধরেই মেইতেইরা তাদের বদলে অন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি জানাচ্ছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:১৩
Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মেইতেইদের দাবি মেনে মণিপুর থেকে আসাম রাইফেলসের ২টি ব্যাটালিয়ন সরিয়ে নিল কেন্দ্র। বদলে আরও ২০০০ সিআরপি জওয়ান পাঠানো হচ্ছে। তাদের একটি ব্যাটালিয়ান কুকি এলাকা চূড়াচাঁদপুর ও অন্য ব্যাটালিয়ান রাজধানী ইম্ফলে মোতায়েন করা হবে।

Advertisement

আসাম রাইফেলস কুকিদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে অভিযোগ করে দীর্ঘদিন ধরেই মেইতেইরা তাদের বদলে অন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর দাবি জানাচ্ছিল। উল্টো দিকে আসাম রাইফেলসকে রক্ষাকর্তা হিসেবে দাবি করে তাদের তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে মিছিল চলছিল কুকি এলাকায়। গত কয়েক দিনে কুকি এলাকা থেকে বোমা-ক্ষেপণাস্ত্র হানার ঘটনার পরে আসাম রাইফেলসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চরমে ওঠে। তার পরেই আসাম রাইফেলসের দু’টি ব্যাটালিয়নকে মণিপুর থেকে সরিয়ে কাশ্মীর ও উত্তর-পূর্বের অন্যান্য অংশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ড্রোন হানা ঠেকানোর বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য সিআরপি, বিএসএফ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটি দল রাজ্যে এসেছে। মণিপুরে ব্যবহৃত ড্রোন, বোমা ও রকেটগুলি পরীক্ষা করবে তারা। সিআরপি-কে ড্রোন-রোধী বন্দুকও দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যকে ৮ দফা দাবি পেশ করেছে রাজ্য সরকার। দাবিগুলি নিয়ে আচার্য দিল্লি যাবেন। ইম্ফলে এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের সাংবাদিক ইয়াম্বেম লাবার বাড়িতে আজ ভোরে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজের দল। তারা সরকারি অস্ত্রাগার থেকে লুঠ হওয়া ইনস্যাস রাইফেল থেকে ১০ রাউন্ড গুলি চালায় লাবার শোয়ার ঘর লক্ষ্য করে। ৫টি গুলি বারান্দায় লাগে। মার্চেও তাঁর গ্রামের বাড়ি ও দফতরে হামলা ও লুঠপাঠ হয়েছিল। লাবা বীরেনের বিরুদ্ধে লেখার পর থেকেই হামলা চলছে।জিরিবামের মোংবুং সেজাংয়েও গত রাতে ফের গুলি চলে।

কংগ্রেস আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করে, ১৬ মাস ধরে ভারতের একটি রাজ্য জ্বলছে, সেখানে বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট, সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে— যা স্বাধীন ভারতে নজিরবিহীন। আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার এই ব্যর্থতার জন্য অবিলম্বে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারন করা উচিত। কংগ্রেসের মতে, রাহুল গান্ধী তিন বার মণিপুরে গেলেও প্রধানমন্ত্রী এক বারের জন্যেও সেখানে যাচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির হাতের পুতুল হয়ে নাটক করছেন। মণিপুরের ঘটনা নিছক হিংসা বা সংঘর্ষ নয়, তা সংবিধান
ও প্রতিষ্ঠানের বিপর্যয়। এর পূর্ণ দায় কেন্দ্রের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement