অভিযুক্ত শ্রীকান্ত। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতিতে যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের পরের দিনই সামনে এল সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শ্রীকান্ত বাড়ি থেকে লাল রঙের স্যুটকেস নিয়ে বেরোচ্ছেন। এই স্যুটকেসে ভরেই ফেলে দেওয়া হয়েছিল ওই যুবতীর দেহ।
সম্প্রতি তিরুপতির পুলিশ সেখানকার একটি সরকারি হাসপাতালের কাছ থেকে একটি স্যুটকেসে অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে। জানা যায়, ওই দেহ ছিল ভুবনেশ্বরীর। ২৭ বছরের ওই যুবতী হায়দরাবাদের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কোভিড অতিমারির জন্য বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন তিনি।
CCTV footage shows #SreekanthReddy had bought large red suitcase about a week ago & took it home; subsequently moved loaded box out of home, all the while carrying baby; suspicion is wife & techie Bhuvaneswari's body was inside suitcase & he tried to dispose it @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/WYJBtGnz5H
— Uma Sudhir (@umasudhir) June 29, 2021
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবতী। তখন তাঁর স্বামী শ্রীকান্ত রেড্ডি তাঁর এবং ভুবনেশ্বরীর পরিবারের লোকেদের জানায়, করোনাভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ভুবনেশ্বরীর। এর পরই উদ্ধার হয় ওই দেহ। ওই দম্পতির দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শ্রীকান্ত পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে অতিমারির সময়ে তিনি কাজ হারিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
তিরুপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লাল স্যুটকেস হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন শ্রীকান্ত। কোলে রয়েছে তাঁর দেড় বছরের মেয়ে। এ ব্যাপারে তিরুপতির গ্রামীণ পুলিশ প্রধান রমেশ রেড্ডি বলেছেন, ‘‘ওই যুবতীর ৯০ শতাংশ দেহ পুড়ে গিয়েছিল। একটি শপিং মল থেকে ওই স্যুটকেস কিনে এনেছিলেন শ্রীকান্ত। সেখান দেহ ভরে সরানোর উদ্দেশ্যেই স্যুটকেস কিনেছিলেন তিনি। পরে দেহটি পোড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি।’’ ভুবনেশ্বরীর দেহ ফরেনসিক তদন্ত করা হচ্ছে। কিছু হাড় এবং খুলি ছাড়া ওই যুবতীর দেহের সমস্তটা পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার।