মুহাম্মদ ইউনূস এবং কেএস ঈশ্বরাপ্পা। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ উঠল কর্নাটকের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা দলত্যাগী বিজেপি নেতা কেএস ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), বজরং দল এবং ‘হিন্দু হিতরক্ষা সমিতি’র যৌথ সভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে বক্তৃতা করতে গিয়ে ঈশ্বরাপ্পা একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, কড়া সমালোচনা করেন মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। সেই বক্তৃতার একটি ভিডিয়ো ফুটেজও (আনন্দবাজার অনলাইন ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনার জেরে কর্নাটকের কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের পুলিশ ঘৃণাভাষণের অভিযোগে মামলা করেছে ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে। ইয়েদুরাপ্পার জেলা শিবমোগ্গার প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা ঈশ্বরাপ্পা ২০২২ সালের গোড়ায় দুর্নীতি এবং এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তার জেরে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। এর পর বিধানসভা ভোটেও টিকিট পাননি তিনি। তাঁর ছেলে কান্তেশকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। সে সময় জল্পনা তৈরি হয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার এবং আর এক প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মণ সড়াভীর মতো ঈশ্বরও কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং ফোন করে ঈশ্বরাপ্পাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এর পর চলতি বছরের লোকসভা ভোটে হাভেরী আসনটি ছেলের জন্য চেয়েও ব্যর্থ হন ঈশ্বরাপ্পা। প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে নির্দল প্রার্থী শিবমোগ্গা লোকসভা আসনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পুত্র রাঘবেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। কিন্তু জিততে পারেননি।