অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল ছবি।
শুধু আবগারি নীতিতে ২০০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্বের ক্ষতি নয়, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি (আপ)-র সরকারের আমলে ‘স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা’র বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ (সিএজি)-র রিপোর্টে।
চলতি মাসেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তার আগে থেকেই পূর্বতন আপ সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে পদ্মশিবির। চলতি সপ্তাহে বিধানসভায় সিএজির একটি রিপোর্ট পেশ করেছে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের সরকার। তাতে ছিল আবগারি নীতিতে অনিয়মের কথা। এ বার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে নতুন একটি রিপোর্ট পেশ হতে চলেছে। আর ওই ক্ষেত্রে ‘গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ঘটেছে’ বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে, প্রকাশিত একটি খবরে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ওই রিপোর্টে দিল্লি সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে সরঞ্জাম এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘাটতি, মহল্লা ক্লিনিকগুলির দুর্বল পরিকাঠামো এবং আপৎকালীন তহবিলের সদ্ব্যবহারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ রয়েছে। জানানো হয়েছে, দিল্লি সরকার পরিচালিত ২৭টি হাসপাতালের মধ্যে ১৪টিতে কোনও আইসিইউ নেই, ১৬টিতে নেই ব্লাডব্যাঙ্ক, আটটি হাসপাতালে কোনও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও নেই! ওই ২৭টি হাসপাতালের মধ্যে ১২টিতে এখনও কোনও অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার ব্যবস্থা নেই।
এমনকি, অরবিন্দ কেজরীওয়াল, আতিশী মার্লেনারা এক দশক সরকার চালানোর পরেও দিল্লির ১৫টি সরকারি হাসপাতালে কোনও মর্গ নির্মাণ করতে পারেননি বলে সিএজি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, প্রকাশিত খবরে এমনটাই দাবি। সামগ্রিক ভাবে দিল্লির সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা ৫০ শতাংশের বেশি চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে এই হার ২১ এবং ৩৮ শতাংশ। কোভিডের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার তহবিলের সদ্ব্যবহারের ব্যর্থ হয়েছে। কেজরীর জমানায় ঘটা করে চালু হওয়া মহল্লা ক্লিনিকগুলির অধিকাংশতেই শৌচাগার নেই বলেও বলছে সিএজি রিপোর্ট।