কে কবিতা। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মদের লাইসেন্স বিলি সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) কন্যা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র বিধান পরিষদ সদস্য কে কবিতাকে গ্রেফতার করল ইডি। সূত্র উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, শুক্রবার দুপুর থেকে কবিতার হায়দরাবাদের বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
কবিতাকে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত বছর জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে সম্প্রতি তিনি ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন। এই মামলার চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মদ সংক্রান্ত নীতির ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া আবগারি নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে যে ব্যবসায়িক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন কবিতা তার ৬৫ শতাংশের মালিক!
গত ডিসেম্বরে সিসৌদিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসাবে অমিত আরোরা নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, তখনই তারা জানতে পারে এই মামলায় যুক্ত রয়েছেন কবিতাও। এ ব্যাপারে পরবর্তী কালে তদন্ত এগোলে জানা যায়, কবিতার দু’টি ফোনে অন্তত ১০ বার ‘আন্তর্জাতিক মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট পরিচিতি’ বদলানো হয়েছে। সেই সময়ে কবিতাকে জেরা করেছিল দিল্লি মদকাণ্ডের আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সূত্রের খবর, আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে কবিতাকে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন ইডি আধিকারিকেরা। গত বছরের মার্চে ইডি বর্ণিত ‘দক্ষিণ লবি’র অন্যতম অরুণ গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বিবি গোরান্তালা নামে হায়দরাবাদের এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। অভিযোগ, অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের আবগারি নীতির ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবর্তন’ ঘটাতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অন্ধ্রের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ এম শ্রীনিবাসুলু রেড্ডি এবং হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী শরৎ রেড্ডি ওই ‘দক্ষিণ লবি’র অন্যতম মাথা বলে ইডির দাবি।