— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মহারাষ্ট্রের অহমদনগরের ২৫ বছরের বধূ। স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। স্কুটি থেকে পড়ে আঘাত লাগে তাঁর মাথায়। কয়েক দিন চিকিৎসার পরেও সাড়া দেননি তিনি। চিকিৎসক জানান, তাঁর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই অবস্থাতেই একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন বধূ। অন্য দিকে, স্ত্রীর অঙ্গদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শোকাহত স্বামী।
গত ২০ জানুয়ারি অহমদনগরের ওই দম্পতি স্কুটি নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। স্কুটি চালাচ্ছিলেন স্বামী। পিছনের আসনে বসেছিলেন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। একটি পথদুর্ঘটনা এক লহমায় বদলে দেয় সব কিছু। স্কুটি থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর চোট পান বধূ। স্বামীও আঘাত পেয়েছিলেন। দু’জনকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছিল হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা হলেও বিপদ এড়ানো যায়নি। বধূর মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। তবে অস্ত্রোপচারে অন্তঃসত্ত্বা রোগিণী একটি সন্তান প্রসব করেন। সদ্যোজাত সুস্থ আছে বলেই খবর।
অন্য দিকে, শোকাহত স্বামী এবং পরিবার রোগিণীর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন। কর্নিয়া, লিভার এবং কিডনি দান করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, এমন খারাপ সময়ের মধ্যে সাহসিকতা এবং বড় মনের পরিচয় দিয়েছে বধূর পরিবার। নিয়ম অনুযায়ী, দুটো কর্নিয়া, কিডনি এবং লিভার যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। অন্য কিডনিটি সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে পুণের জ়োনাল ট্রান্সপ্লান্ট কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে।