Chanda Kochhar

‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রেফতার’: প্রাক্তন আইসিআইসিআই সিইও চন্দা প্রসঙ্গে বম্বে হাই কোর্ট

২০১৮ সালে দায়ের হওয়া ৩,২৫০ কোটি টাকার একটি ঋণ প্রতারণাকাণ্ডের মামলায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৩
বাঁ দিক থেকে, চন্দা এবং দীপক কোছর।

বাঁ দিক থেকে, চন্দা এবং দীপক কোছর। — ফাইল চিত্র।

ঋণ প্রতারণাকাণ্ডের মামলায় ধৃত আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও এবং এমডি চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপক কোছরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে সিবিআই। সোমবার বম্বে হাই কোর্ট পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেছে। হাই কোর্টের মন্তব্য, ‘‘কোনও অভিযোগ জমা পড়ার আগেই চন্দা এবং দীপককে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি যে ভাবে গ্রেফতার করেছিল, তাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ ছাড়া কিছু বলা যায় না।’’

Advertisement

২০১৮ সালে দায়ের হওয়া ৩,২৫০ কোটি টাকার একটি ঋণ প্রতারণাকাণ্ডের মামলায় ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সংক্ষিপ্ত জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। শনিবার আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সহযোগিতা করেননি চন্দারা। তাই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারিতে বম্বে হাই কোর্ট চন্দা-দীপকের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে জানিয়েছিল, গ্রেফতারি আইন মেনে হয়নি।

অভিযোগ, ২০১২ সালে বেণুগোপাল ধুতের ভিডিয়োকন গোষ্ঠীকে ৩,২৫০ কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দিতে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ নিয়মনীতি ভেঙেছিলেন সে সময় ওই ব্যাঙ্কের সিইও এবং এমডি চন্দা। অভিযোগ, এই প্রতারণাকাণ্ডে লাভবান হয়েছিলেন চন্দার স্বামী দীপক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। পরে ওই ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়। ওই মামলায় চন্দার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল সিবিআই।

সিবিআইয়ের এফআইআরের ভিত্তিতে চন্দা, দীপক-সহ বেণুগোপালের বিরুদ্ধে কালো টাকা লেনদেন প্রতিরোধ আইনে পৃথক মামলা রুজু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে ইডির হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন দীপক। বম্বে হাই কোর্ট এর আগে জানিয়েছিল, মামলা দায়েরের চার বছর পর দম্পতিকে গ্রেফতার করার কারণ ‘অ্যারেস্ট মেমো’তে স্পষ্ট হয়নি। যা থাকা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি আদালত বলেছিল, অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করছেন না, এই যুক্তিতে অভিযুক্ত ‘তদন্তে সহযোগিতা করছেন না’ বলা যায় না।

আরও পড়ুন
Advertisement