Bombay high Court

বিতর্কিত রায়ের জের, বেনজির ভাবে মাত্র ১ বছরের জন্য দায়িত্ব সেই গনেরিওয়ালাকে

অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে শুক্রবার শেষ হয়েছে গনেরিওয়ালার মেয়াদ। ওই দিনই অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:১৮
পুষ্পা গনেরিওয়ালা।

পুষ্পা গনেরিওয়ালা। —ফাইল চিত্র।

পর পর বিতর্কিত রায়ের জের। অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে দু’বছরের জায়গায় বেনজির ভাবে মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হল বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্পা গনেরিওয়ালাকে। শুক্রবার এ কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে কেন্দ্র।

অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে শুক্রবার শেষ হয়েছে গনেরিওয়ালার মেয়াদ। ওই দিনই অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে তাঁর মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে তাঁর কাজের মেয়াদ। এর আগে গনেরিওয়ালাকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে স্থায়ী ভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। কিন্তু গত মাসে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

Advertisement

এর পর শুক্রবার অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে গনেরিওয়ালার মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘোষণা করে কেন্দ্র। সূত্রের মতে, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখতে বলার বদলে গনেরিওয়ালার কাজের মেয়াদ মাত্র এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সাধারণত, অতিরিক্ত বিচারপতিদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের আগে তাঁদের দু’বছরের মেয়াদে নিযুক্ত করা হয়।

এর আগে গনেরিওয়ালার দেওয়া একাধিক রায় নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে দেশ জুড়ে। গত ১৫ জানুয়ারি শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে গনেরিওয়ালা বলেন, ‘‘কোনও নাবালিকা মেয়ের হাত ধরে টানা এবং একই সঙ্গে সেই সময় প্রকাশ্যে প্যান্টের জিপ খুললে তা যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী যৌন নির্যাতন হিসাবে গণ্য হবে না।’’ তার দিন চারেকের মাথায়, গত ১৯ জানুয়ারি গনেরিওয়ালা এক রায়ে বলেছিলেন, ১২ বছরের কোনও শিশুর জামাকাপড় খুলে বা জামাকাপড়ের ভিতরে হাত গলিয়ে বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে, তা শিশুদের যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ (পকসো) আইনের আইনের আওতায় পড়বে না। ওই ব্যাখ্যার ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে মাত্র ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন গনেরিওয়ালা। যদিও সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন
Advertisement