খাটের বক্সের থেকে উদ্ধার বধূর পচাগলা দেহ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রোজের মতো দিল্লির জনকপুরীতে মেয়ের ভাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় পায়রাদের খাওয়াতে গিয়েছিলেন মা। তখনই ওই তালাবন্ধ বাড়ি থেকে পচা গন্ধ নাকে আসে তাঁর। বৃদ্ধা খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দরজার তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে। সেই ঘরে খাটের বক্সের ভিতর থেকে উদ্ধার করে ২৪ বছরের তরুণীর দেহ। মুখ বাঁধা ছিল টেপে। তাঁর স্বামী ফেরার ছিলেন। সোমবার তাঁকে হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। দাবি করেছেন, এক ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সন্দেহ করেই খুন করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে ধনরাজের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দীপার। তাঁদের একটি দুই বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। পশ্চিম দিল্লির জনকপুরীতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। ধনরাজ গাড়ি ভাড়া করার সংস্থায় কাজ করেন। দীপার বাবা অশোক চৌহান পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেয়ের ফোন বন্ধ। তার পর থেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁরা। ৩ জানুয়ারি দীপার বাড়ির কাছে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তাঁর মা। খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে ধনরাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে ২৮ বছরের এক ডেলিভারি বয়ের সম্পর্ক ছিল বলে সন্দেহ হয়েছিল তাঁর। সে কারণে ১ জানুয়ারি দীপাকে খুন করেন। ৩ জানুয়ারি উদ্ধার হয় দীপার দেহ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, খুনের পরে দীপার দেহ খাটের বক্সে ঢুকিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ধনরাজ। এর পরে এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে মদ্যপান করেন। তখন তাঁকে খুনের কথা বলে ফেলেন তিনি। এর পর সেখান থেকে অন্য এক বন্ধুর সাহায্য নিয়ে পালিয়ে যান। যে বন্ধুর কাছে ধনরাজ স্বীকার করেছিলেন, তাঁকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। তার পরেই হরিয়ানার করনাল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ডিসিপি (দ্বারকা) অঙ্কিত সিংহ জানিয়েছেন, দীপার শিশুপুত্র মামার কাছে ছিল। সে সময় এই কাণ্ড হয়েছে।