Ramnavami Rally

রামনবমীতে ডিজে বন্ধ করায় অনশন! বিধানসভায় হুড়োহুড়ি, ‘তালিবানি শাসন’ বলল বিজেপি

ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বলতে পরনের কুর্তা ছিঁড়ে ফেলেন বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত হানছে ঝাড়খণ্ড সরকার।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ঝাড়খণ্ড শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৯
BJP MLA asks if Jharkhand is ruled by Taliban as DJ ban on Ram Navami Procession

রামনবমীতে ডিজে বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় হাজারিবাগে পাঁচ জন ব্যক্তি আমরণ অনশনে বসেছেন! —প্রতীকী চিত্র।

রামনবমীতে ডিজে বন্ধের নির্দেশে উত্তেজনা ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়। বিরোধী শিবির অর্থাৎ, বিজেপি বিধায়কদের দাবি, হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করছে ঝাড়খণ্ড সরকার। অন্য দিকে, সরকার পক্ষ জানাচ্ছে পুজো অবশ্যই হবে। কিন্তু শব্দদূষণ নৈব নৈব চ। যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডে তালিবানি শাসন চলছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক বিজেপি বিধায়ক।

মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছিল। ওই সময় বিজেপি বিধায়ক মণীশ জয়সওয়াল দাবি করেন হাজারিবাগে রামনবমীর মিছিলে ডিজে বাজানোর অনুমতি দেওয়া হোক। এই দাবি জানাতে গিয়ে ওই বিজেপি বিধায়ক এতটাই উত্তেজিত হয়ে পড়েন যে, ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বলতে পরনের কুর্তা ছিঁড়ে ফেলেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে কি তালিবান শাসন চলছে?’’ মণীশ জানান, রামনবমীতে ডিজে বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় হাজারিবাগে পাঁচ জন ব্যক্তি আমরণ অনশনে বসেছেন। অনেকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করছে পুলিশ। কিন্তু রামনবমী উপলক্ষে যদি ডিজে বাজানো হয় তবে কী এমন ক্ষতি হবে? প্রশ্ন ওই বিধায়কের। এর পর ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে ১০৪ বছরের ঐতিহ্য ভাঙার অভিযোগ তোলেন তিনি।

Advertisement

অন্য দিকে, সরকার পক্ষ জানাচ্ছে ডিজে বাজানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী মিথিলেশ ঠাকুরের অভিযোগ, রামনবমীতে ডিজে বাজানোর দাবি নিয়ে যাঁরা অনশন করছেন তাঁরা প্রত্যেকে বিজেপি কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ডেসিবেল মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে। ডিজের অনুমতি দিলে তা ভাঙবে। আমরা সমস্ত ধর্ম এবং সম্প্রদায়কে সম্মান করি। আমরা রামের প্রকৃত ভক্ত।’’ এই কথা কাটাকাটির মধ্যে বিধানসভার ওয়েলে নেমে কংগ্রেস বিধায়ক দীপিকা পাণ্ডে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়কেরা তাঁকে ‘নগরবধূ’ বলে অপমান করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি দেব-দেবীতে আস্থাশীল নয়। তারা চায় নগরবধূ। ওরা হিন্দুও নয়। হিন্দুর নাম নিয়ে নাটক করে।’’

এই ঝামেলার মধ্যেই রাজ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নিয়ে দু’টি প্রাইভেট বিল পাশ হয়েছে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়।

আরও পড়ুন
Advertisement