BJP

৩৮ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪০, এনডিএ-তে আরও দুই সহযোগী দলকে নিয়ে আসছেন মোদী-শাহেরা

বিহারের দল ভিআইপির প্রতিষ্ঠাতা মুকেশ সহানির প্রভাব মূলত সে রাজ্যের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে। ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র শরিক ছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৫
BJP in talks to take more parties in NDA, one each in Uttar Pradesh and Bihar

১৮ জুলাই দিল্লির অশোকা হোটেলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বৈঠক। — ফাইল চিত্র।

এখন রয়েছে ৩৮টি দল। কিন্তু আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এনডিএ-তে শরিক দলের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হতে পারে বলে বিজেপির একটি সূত্রের খবর। উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের দু’টি ছোট জাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিমধ্যেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রাক্তন সহযোগী মহান দল এবং বিহারের বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি) রয়েছে এই তালিকায়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দু’টি দলেরই অনগ্রসর সমাজের একাংশের মধ্যে প্রভাব রয়েছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ এবং রোহিলাখণ্ড এলাকায় ‘সক্রিয়’ মহান দলের প্রতিষ্ঠাতা কেশব দেব মৌর্য উত্তরপ্রদেশের ২০১২ সালে বিধানসভা ভোট এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সহযোগী ছিলেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে তিনটি লোকসভা আসন তাঁকে ছেড়েছিল কংগ্রেস।

Advertisement

২০১৭-য় উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে হাত মেলানোয় ইউপিএ ছাড়ে মহান দল। বর্তমানে মহান দলের সঙ্গে মায়াবতীর বিএসপির সমঝোতা রয়েছে। কেশব এনডিএতে যোগ দিলে, অ-যাদব অনগ্রসর (ওবিসি) কিছু গোষ্ঠী বিশেষত মৌর্য, কুশওয়াহা, শাক্যদের একাংশের সমর্থন বিজেপির পক্ষে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা।

বিহারের দল ভিআইপি-র প্রতিষ্ঠাতা মুকেশ সহানির প্রভাব মূলত সে রাজ্যের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মধ্যে। ২০২০ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র শরিক ছিলেন তিনি। ভোটের পর মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু নীতীশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে মুকেশ মন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত হন। এর পর তাঁর দল ভিআইপি-র তিন বিধায়ক যোগ দেন বিজেপিতে। এর পরে ধারাবাহিক ভাবে বিজেপির সমালোচনা করছিলেন মুকেশ। কিন্তু সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ‘দূত’ তাঁর কাছে পৌঁছেছিল বলে ‘খবর’ প্রচারিত হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠকে হাজির ছিল এই ৩৮টি দল— বিজেপি, শিবসেনা (শিন্ডে), এনসিপি (অজিত), রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি, এডিএমকে (পলানীস্বামী), আপনা দল (এস), এনপিপি, এনডিপিপি (নাগাল্যান্ড), আজসু, সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা, মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট, আইপিএফটি, নাগা পিপল্‌স ফ্রন্ট, আরপিআই (অঠওয়ালে), অসম গণ পরিষদ, পিএমকে, তামিল মনিলা কংগ্রেস, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল, সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি, শিরোমণি অকালি দল (সংযুক্ত), মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি, জননায়ক জনতা পার্টি, প্রহার জনশক্তি পার্টি, রাষ্ট্রীয় সমাজ পক্ষ, জনসূর্য শক্তি পার্টি, কুকি পিপলস্‌ অ্যালায়ান্স, ইউডিপি (মেঘালয়), এইচএসপিডিপি, নিষাদ পার্টি, অল ইন্ডিয়া এনআর কংগ্রেস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা, জনসেনা পার্টি, হরিয়ানা লোকহিত পার্টি, ভারত ধর্ম জনসেনা, কেরল কামরাজ কংগ্রেস, পুথিয়া তামিলনাগম, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) এবং জিএনএলএফ। এ বার তা বাড়ার সম্ভাবনা।

Advertisement
আরও পড়ুন