Gujarat

Bilkis Bano gang-rape case: গুজরাতে ভোটের আগে ‘তোষণের রাজনীতি’! বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির নিন্দা ওয়েইসির

২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় দাহোড় জেলায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। খুন করা হয় তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২২ ২০:২৭
বিলকিস এবং আসাদউদ্দিন।

বিলকিস এবং আসাদউদ্দিন। ফাইল চিত্র।

গুজরাতে গোধরা পরবর্তী দাঙ্গা-পর্বে বিলকিস বানো গণধর্ষণ-কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। চলতি বছরের শেষেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলেছেন। এই ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে একটি ভুল বার্তা পাঠাল এবং একটি ভুল নজির স্থাপন করল।’’ এই ঘটনাকে ‘তোষণের রাজনীতি’ বলেও চিহ্নিত করেন ওয়েইসি।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩ মার্চ, গুজরাত দাঙ্গার সময় আমদাবাদের কাছে দাহোড় জেলার রাধিকপুর গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। খুন করা হয় তাঁর পরিবারের ১৪ জনকে। ওই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকে ২০০৮-এ যাবজ্জীবনের সাজা দেয় বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জন সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যু হয়। বিশেষ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাকি ১১ জন। তবে তাঁদের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিশেষ আদালতের শাস্তিই বহাল রাখে বম্বে হাইকোর্ট।

গত ১৫ বছর ধরে জেলে ছিল ওই ১১ জন। সম্প্রতি তাদের এক জন সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। তার ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পেয়েই একটি কমিটি গঠন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্চমহলের জেলাশাসক সুজল মায়াত্রা। সোমবার সুজল বলেন বলেন, ‘‘ওই কমিটি ১১ জনের মুক্তির সুপারিশ করেছিল। তারই ভিত্তিতে গুজরাত সরকারের তরফে তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

কয়েক মাস আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দোষী সাব্যস্ত বন্দীদের সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য একটি বিশেষ ‘মুক্তি নীতি’ কার্যকর করা হবে। কিন্তু ওই নীতিতে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দেওয়া যাবে না বলেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে বিলকিসের মুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement