বুধবার খড়্গের বাসভবনে নীতীশ, অখিলেশও গরহাজির থাকবেন? — ফাইল ছবি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ৬ ডিসেম্বর, বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জন খড়্গের বাসভবনে হতে চলা ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে সম্ভবত থাকছেন না বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবও। তবে নীতীশ ব্যক্তিগত ভাবে খড়্গের বাসভবনে হাজির না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠাবে জেডিইউ। অখিলেশের ক্ষেত্রেও প্রতিনিধি পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে থাকবেন। তাই বুধবার দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে হাজির থাকতে পারবেন না। একই কারণে যেতে পারছেন না তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে এখনও স্পষ্ট নয়, বুধবার ইন্ডিয়া ব্লকের বৈঠকে ঘাসফুলের প্রতিনিধিত্ব করবেন কে? বিহারের মুখ্যমন্ত্রীরও বুধবারের বৈঠকে হাজির থাকতে পারছেন না বলেই সূত্রের খবর। নীতীশের বদলে জেডিইউ সভাপতি লল্লন সিংহ এবং বিহার সরকারের মন্ত্রী সঞ্জয়কুমার ঝা ইন্ডিয়ার বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা এবং ছত্তীসগঢ়ের বিধানসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে গত রবিবার। ফল বলছে, উত্তর ভারতের হিন্দি বলয় থেকে কার্যত মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। ‘হাত’ছাড়া হয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগড়। মধ্যপ্রদেশেও হেলায় জয় পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের মুখ রেখেছে কেবল তেলঙ্গানা। এই চার রাজ্যের ফলাফল যখন প্রায় স্পষ্ট তেমন আবহেই জানা যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিরোধী নেতৃত্বকে ফোন করে ৬ ডিসেম্বর ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানাতে শুরু করেছেন। দিল্লিতে খড়্গের বাসভবনেই এই বৈঠক হওয়ার কথা। সাম্প্রতিক একাধিক রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের আবহে আগামী লোকসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা বুধবারের বৈঠকের অন্যতম আলোচ্যসূচিতে থাকার কথা। কিন্তু শুরু থেকেই সমন্বয়ের অভাব স্পষ্ট। এ ভাবে ভোটে ধাক্কা খাওয়া কংগ্রেসের উপর শরিকরা চাপ বৃদ্ধির রাস্তায় হাঁটছেন কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা যেমন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে। তেমনই জানা যাচ্ছে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ এবং উত্তরপ্রদেশের নেতা এসপি প্রধান অখিলেশও সম্ভবত বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না। সূত্রের খবর, আসন রফা নিয়ে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে ‘তিক্ত’ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এসপির। সেই প্রেক্ষিতে অখিলেশ বৈঠকে গরহাজির থাকতে চলেছেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদিও বারাণসীতে সেই উত্তাপ কমানোর চেষ্টাই করতে দেখা গিয়েছে অখিলেশকে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভোট শেষ হতেই এ বার অহঙ্কারও শেষ হচ্ছে। তাপমাত্রা নীচে নেমে আসছে।’’ অখিলেশ না গেলেও সম্ভবত ইন্ডিয়ার বৈঠকে অখিলেশের দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন রামগোপাল যাদব। উত্তরপ্রদেশে এসপির অন্যতম সহযোগী দল আপনা দল (কমেরাবাদী)ও কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে হাজির থাকছে না।