কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
যাত্রা শুরুর ১০ দিন আগে বদলে গেল নাম। আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী যে যাত্রা শুরু করবেন, তার নাম হবে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। এর আগে দলের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই যাত্রার নাম হবে ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বৃহস্পতিবার নাম বদলের কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক, রাজ্যগুলির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং পরিষদীয় দলের নেতাদের বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে স্থির হয়েছে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নামটি মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছে। একটি ‘ব্র্যান্ড’ হয়ে উঠেছে। আমাদের তা হারিয়ে ফেলা উচিত হবে না।’’
২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাহুল দেশের দক্ষিণ থেকে উত্তর প্রান্তে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেন। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত ১৩৬ দিনের সেই পদযাত্রা ছুঁয়ে গিয়েছিল ১৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। এ বার অবশ্য মূলত বাস-নির্ভর হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমমুখী যাত্রা। ১৪টি রাজ্যের ৮৫ জেলা ছুঁয়ে ২০ মার্চ শেষ হবে মুম্বইয়ে। ৬৬ দিনের যাত্রাপথের বেশ কিছুটা অংশ পদব্রজেও অতিক্রম করবেন রাহুল এবং তাঁর সঙ্গীরা।
রাহুলের এ বারের যাত্রার ‘লক্ষ্য’ পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারতে জনসংযোগ। ৬,২০০ কিলোমিটার এই যাত্রায় থাকছে মণিপুর, নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত সমাজের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছেন রাহুল এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের দাবি, হিমাচল প্রদেশ, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যের বিধানসভা ভোটে সেই যাত্রার সুফলও মিলেছে। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার ঠিক আট দিন আগেই শুরু হচ্ছে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’।