India-Myamnar

মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের, যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা

বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে।”

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫৫
An image of Ajit Doval and Hasan Mahmud

(বাঁ দিকে) বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ছবি: পিটিআই।

মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশই তীব্র হচ্ছে। রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কামানের গোলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েক জন বাংলাদেশি নাগরিকের। জুন্টা সমর্থক সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের লড়াইয়ে মাঝে পড়ে ঘরছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজ়োরাম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। এই পরিস্থিতি বুধবার মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

Advertisement

বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ এক সঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।’’ প্রসঙ্গত, ডোভাল গত রবিবার ঢাকা গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি।

বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে ইতিমধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমানহানা শুরু করল মায়ানমার বায়ুসেনা। পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশের বেশ কিছু জনপদে ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণও চলছে। ফলে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার। ভারতের মিজ়োরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার–বান্দরবান এলাকার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমারের নাগরিকেরা পালিয়ে চলে আসছেন দু’দেশেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ নভেম্বর থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। যদিও ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ) এবং আরাকান আর্মি নামে আর একটি গোষ্ঠীর সঙ্গেই মূলত জুন্টা-ফৌজের লড়াই হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন