Salman Khan

বাবা সিদ্দিকির ‘খুনি’-র ‘টার্গেট’ ছিলেন সলমনও! নিরাপত্তার কড়াকড়ির জেরে ছক বানচাল: পুলিশ

গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন এনসিপি নেতা সিদ্দিকি। তাঁর খুনের নেপথ্যে লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের যোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:০৩
(বাঁ দিকে) সলমন খান। নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সলমন খান। নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

‘হিট লিস্ট’-এ ছিলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খানও! জেরার মুখে এ বার এমনটাই জানালেন বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত। প্রকাশ্যে এল ‘নিশানা’দের নামের তালিকাও! বুধবার মুম্বই পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সলমনকেও খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন আততায়ীরা। ‘কাজ হাসিল’ করতে তাঁরা অভিনেতার বাসভবনের আশপাশে ঘোরাঘুরিও করেন। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। এর পরেই তাঁরা সিদ্দিকির দিকে মনোনিবেশ করেন।

Advertisement

সিদ্দিকি-খুনে আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন শুটার শিবকুমার গৌতম। প্রথমে জেরায় শিবকুমার মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, পলাতক গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম এবং অভিনেতা সলমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণেই বাবা সিদ্দিকিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। খুনের ‘পারিশ্রমিক’ বাবদ পেয়েছিলেন ১০ লক্ষ টাকা এবং মাসিক খরচ। শিবকুমার জানিয়েছেন, তাঁদের একটি ‘হিট লিস্ট’ দেওয়া হয়েছিল। তাতে সিদ্দিকি, সলমন ছাড়াও ছিল শিল্প, বিনোদন, রাজনীতি এবং অন্যান্য নানা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা তাবড় ব্যক্তিত্বদের নাম।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেই সলমনকে আবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে মুম্বইয়ের দাদর এলাকার জ়োন-৫-এ সলমনের শুটিং সেটে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঢুকে পড়েন। সে সময় বলিউড তারকাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সেটে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে ওই ব্যক্তি লরেন্সের নাম করে হুমকি দেন। ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

অভিযোগ, সিদ্দিকি খুনের পর থেকেই নতুন করে বেশ কয়েক বার খুনের হুমকি পেয়েছেন সলমন। কখনও পাঁচ কোটি, কখনও দু’কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। তবে সলমনের উপর বিশ্নোই গোষ্ঠীর ক্ষোভ পুরনো। অভিযোগ, অতীতে বিশ্নোই সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত করেছেন সলমন ও তাঁর পরিবার। কারণ, কৃষ্ণসার হরিণের পুজো করে বিশ্নোই সম্প্রদায়। আর সেই হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে সলমনের বিরুদ্ধে। ১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে সলমন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থান হাই কোর্ট। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। এই রায়ের বিরুদ্ধে সলমন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন