Atiq Ahmed Murder

‘হাসপাতালে সবে পা রেখেছিলেন আতিক, হঠাৎ গুলির শব্দ!’ খুনের বর্ণনা দিলেন আইনজীবী

শনিবার রাতে আতিককে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। রাত ১০টার পর হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাঁর উপর হামলা হয়। পুলিশের সামনেই তিনি এবং তাঁর ভাই খুন হয়ে যান।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৩৭
Atiq Ahmed\\\'s advocate describes incident after the killing.

আতিক আহমেদকে পুলিশের চোখের সামনেই খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ফাইল ছবি।

গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের হত্যার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর আইনজীবী বিজয় মিশ্র। কী ভাবে আতিককে খুন করা হল, কারা গুলি চালালেন, সংবাদমাধ্যমের সামনে সে সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন আইনজীবী।

শনিবার রাতে আতিককে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। রাত ১০টার পর হাসপাতালে যাওয়ার সময়েই তাঁর উপর হামলা হয়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে লক্ষ্য করে গুলি চালান আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেন। ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দৃশ্য।

Advertisement

ঘটনার সময় হাসপাতালের সামনেই ছিলেন আতিকের আইনজীবী বিজয়। সাংবাদিকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। বিজয় ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ ওঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যেই ওঁরা হাসপাতাল চত্বরে ঢোকেন, গুলির শব্দ শোনা যায়। বিধায়ক এবং তাঁর ভাইয়ের গায়ে গুলি লাগে। ওখানেই ওঁদের মৃত্যু হয়।’’

সাংবাদিকেরা বিজয়কে জিজ্ঞাসা করেন, পুলিশ কি আতিকদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা গুলি চালিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ কোনও গুলি চালিয়েছে কি না, আমি দেখতে পাইনি।’’ আততায়ীরা কি সাংবাদিকের বেশে আতিকের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন? আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে কোনও তথ্য তাঁর কাছে নেই।

আতিকের হত্যার পরেই উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাজ্যে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে রাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আততায়ী তিন জনকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আতিকের হত্যা উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তাঁর মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে পুলিশের চোখের সামনেই কী ভাবে স্লোগান দিতে দিতে খুন করা হল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কিছু দিন আগেই আতিকের পুত্র পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতে খুন হলেন আতিকও।

আরও পড়ুন
Advertisement