ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার এক দিকে বারবার দাবি করছে ২০১৯ সালের ৩১ অগস্ট প্রকাশিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা সঠিক নয়। তার পুনর্যাচাই তথা রি-ভেরিফিকেশন প্রয়োজন। অন্য দিকে, আজ বিধানসভায় জমা দেওয়া উত্তরে স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্বে থাকা খোদ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাই জানালেন, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রি-ভেরিফিকেশনের কোনও আবেদনই জানায়নি। আরও জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে যে ইন্টারলোকিউটরি আবদেন জমা দেয়, তা সুপ্রিম কোর্ট অগ্রাহ্য করেছে। হিমন্ত জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ ও অন্যান্য জেলায় ১০ শতাংশ রি-ভেরিফিকেশনের আবেদন রাজ্য জানিয়েছিল। কিন্তু আগের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজিলা আদালতে জানিয়েছিলেন তিনি ইতিমধ্যেই ২৭ শতাংশ রি-ভেরিফিকেশন করিয়েছেন। তাই আদালত রাজ্যের আবেদন খারিজ করেছে। সরকার আরও জানিয়েছে, এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়াদের স্পিকিং অর্ডার স্ক্যানিংয়ের কাজ ৯৯ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।
খসড়াছুট ৪০ লক্ষ মানুষের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার পরে তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য লক্ড হয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বড়জোর ২ লক্ষ মানুষের আগে আধার কার্ড ছিল। কিন্তু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৩৮ লক্ষাধিক মানুষের আধার কার্ড পাওয়া। তাঁদের মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম ওঠেনি এনআরসিতে। আরও ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসিতে উঠলেও আধার কার্ড হচ্ছে না। আজ বিধায়ক কৌশিক রাই প্রশ্ন তোলেন বায়োমেট্রিক লক্ড থাকা মানুষদের আধার কার্ড কী ভাবে মিলবে? আধার না পেলে তাঁরা রেশন কার্ড, আবাস যোজনার মতো সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন কি না?
সরকারের তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই আধারের ধাঁচে এনআরসির খসড়াছুটদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন তা লক্ড হয়ে থাকা ও আধার না মেলার বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়, অসমের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে আবাস যোজনায় আধার লিঙ্ক করা এখনও বাধ্যতামূলক নয়। খাদ্য ও গণবন্টন দফতরও যোগ্য ব্যক্তিদের আধার কার্ড ছাড়াই রেশন কার্ড দিচ্ছে।