— প্রতীকী চিত্র।
দেশের অরণ্যভূমির মধ্যে ১৩ হাজার ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা স্রেফ বেদখল হয়ে গিয়েছে বলে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালকে (এনজিটি) জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। বেদখল বনাঞ্চলের এই আয়তন দিল্লি, সিকিম এবং গোয়ার সম্মিলিত ভৌগোলিক আয়তনের চেয়েও বেশি। সব রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে তথ্য এখনও মেলেনি। সে ক্ষেত্রে সার্বিক ভাবে এই বেদখলের পরিমাণ আরও বেশি বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।
গত বছর সংবাদমাধ্যমে ৭৫০৬.৪৮ বর্গকিলোমিটার বনভূমি দখলের খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে এপ্রিল মাসে এনজিটি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দেয় সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছ থেকে বনভূমি দখলের তথ্য সংগ্রহ করার। গত সপ্তাহে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। যদিও তাতে বিহার, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, নাগাল্যান্ড, দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের তথ্য নেই। কারণ তারা এখনও তাদের তথ্য মন্ত্রককে জানায়নি। এখনও অবধি যা জানা গিয়েছে, তাতে ২৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জুড়ে ১৩,০৫৬ বর্গকিলোমিটার বনভূমি দখলের আওতায় রয়েছে। বনভূমি বলতে সরকারি নথিতে অরণ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত অঞ্চল বোঝানো হয়েছে।
এই দখলদারিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। তার পরে অসম, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও অরুণাচল প্রদেশ। এর পরে ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ, মিজ়োরাম, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, পঞ্জাব, কেরল, ত্রিপুরা, আন্দামান-নিকোবর, মণিপুর এবং অন্যরা। মন্ত্রকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪০৯.৭৭ বর্গকিলোমিটার বনভূমি দখলমুক্ত করা গিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত বেদখল হয়ে থাকা বনভূমির এই খতিয়ান থেকে এই অঞ্চলটি বাদ ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।